৪৮ জনকে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে

কালের সংবাদ ডেস্কঃ দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আমরা কখনো অন্যের মডেলের ওপর নির্ভর করবো না।

দেশের সার্বিক উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করতে নিজস্ব মেধা ও চিন্তার প্রয়োগ ঘটানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ৪৮ জনকে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ দেয়া হয়। বিশ্বব্যাপী শীর্ষ্য রাংকিংয়ে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডির জন্য ১০ জন ও মাস্টার্সের জন্য ৩৮ জন এবার এই ফেলোশিপ পেয়েছেন।

বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, জলবায়ু, প্রাকৃতিক পরিবেশ, দেশবাসীর মানসিকতা, প্রাকৃতিক সম্পদ ও ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য ফেলোদের প্রতি আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।

দেশের উন্নয়নের পরিকল্পনা তৈরি করতে আপনাকে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জ্ঞানের সঙ্গে দেশের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করার জ্ঞানকে সমন্বয় করতে হবে, যা টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে। সরকার প্রধান বলেন, সঠিক পরিকল্পনা যে দেশকে সার্বিক উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে পারে, তা গত সাড়ে ১৪ বছরে আমরা প্রমাণ করেছি।

জনগণের অর্থে বিদেশ থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে দেশে ফিরে জনগণ ও দেশের কল্যাণে কী অবদান রাখছেন, তা সব সময় ভেবে দেখতে হবে। বিদেশি উচ্চশিক্ষা থেকে অর্জিত জ্ঞান ব্যবহার করে আপনারা দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য কী করছেন, তা মনে রাখবেন। আমি আমাদের ছেলেমেয়েদের বলতে চাই যে, তোমরা প্রতিভা বিকাশের জন্য প্রযুক্তির দ্বারা তৈরি সুযোগকে কাজে লাগাও। প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।

আমরা পিছিয়ে পড়তে চাই না। সরকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। কারণ, শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতির উন্নতি সম্ভব নয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শিক্ষা খাতে ৮৮ হাজার ১৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শিক্ষার সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, উচ্চশিক্ষার জন্য ফেলোশিপ প্রদানসহ সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

সরকার মেরিটাইম, অ্যারোস্পেস, এভিয়েশন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মতো বিভিন্ন ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করে শিক্ষাকে বহুমাত্রিক করেছে। গবেষণা ও বিজ্ঞানকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। উচ্চশিক্ষার্থীদের গবেষণায় গুরুত্ব দিতে হবে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে গবেষণা খুবই কম। তাই চিকিৎসাবিজ্ঞানে আমাদের আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো আমরা। আজকের তরুণেরাই হবে স্মার্ট দেশ গড়ার সৈনিক। তাই আমাদের দেশকে জানতে হবে, বুঝতে হবে এবং অনুভব করতে হবে যেখান থেকে আপনি জ্ঞান অর্জন করতে পারেন। দেশের উন্নয়নের পরিকল্পনা তৈরি করতে আপনাকে বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জ্ঞানের সঙ্গে দেশের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করার জ্ঞানকে সমন্বয় করতে হবে যা টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.