কালের সংবাদ ডেস্কঃ লিখিত বক্তব্যে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, সব দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে নির্বাচনটি সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
ঘোষিত জাতীয় সরকারের প্রস্তাবিত রূপরেখা করতে হবে, আপিল বিভাগের একজন বিজ্ঞ, সৎ, যোগ্য ও গ্রহণযোগ্য বিচারপতিকে প্রধান করে নিবন্ধিত দলগুলোর প্রতিনিধি নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন হবে। যারা জাতীয় সরকারে থাকবেন, তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। জাতীয় সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। জাতীয় সরকার গঠিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বর্তমান জাতীয় সংসদ ভেঙে দিতে হবে। সংসদ ভেঙে দেয়ার পাশাপাশি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। জাতীয় সরকার পরবর্তী ৩ মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবেন। কোনো কারণে তা সম্ভব না হলে পরবর্তী ৩ মাসের মধ্যে অবশ্যই নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। জাতীয় সরকার গঠিত হওয়ার পর নির্বাচন কমিশন ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। বর্তমান মন্ত্রিসভার কেউই নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারে থাকতে পারবেন না।
আমরা আগেও বলেছি এবং এখনও বলছি-দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করবে না।
এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করার জন্য সবাইকে ঐকমত্যে পৌঁছানোর আহ্বান জানান।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী মজলিশে শূরার সদস্য ড. খলিলুর রহমান মাদানী, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, মুসলিম লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুল ইসলাম, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, বাংলাদেশ জমিয়তুল মুছলেহীন এর আমীর মাওলানা খলিলুর রহমান নেছারাবাদী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব অধ্যাপক ড. আহমদ আবদুল কাদের, সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, খেলাফতে রব্বানী পার্টির চেয়ারম্যান মুফতি ফয়জুল হক জালালাবাদী, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আবদুল লতিফ মাসুমসহ ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, খন্দকার গোলাম মাওলা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগ ছাড়া নিবন্ধিত অধিকাংশ দলকে আমন্ত্রণ জানায় ইসলামী আন্দোলন। বিএনপি’র পক্ষে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সভায় যোগ দেন। জাতীয় পার্টির কেউ সভায় আসেননি। তবে, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ উপস্থিত ছিলেন। জামায়াতে ইসলামীকে দলীয়ভাবে আমন্ত্রণ জানানো না হলেও দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য খলিলুর রহমান মাদানীকে দাওয়াত দেয়া হয়। তিনি মতবিনিময় সভায় এসেছিলেন। সভায় অংশ নেয়া ১৫টি রাজনৈতিক দলের বক্তা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সবাই একত্মতা প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।