মোঃ মোকাররম হোসাইন, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটে হত্যার দায়ে তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড আদেশ দিয়েছেন আদালত ও প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদণ্ডাদেশ এবং তাদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ২০১ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় প্রত্যেককে ৫ বছরের সশ্রমকারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার আজ (১২জুলাই) দুপুরে জেলা দায়রা জজ আদালত এর বিচারক মোঃ নুর ইসলাম এ রায় দেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের মৃত নিজামুদ্দিন ওরফে কিনিমুদ্দিনের ছেলে আতাউল ওরফে আতাউর রহমান (৬৫), তার স্ত্রী মেরিনা বেগম (৫০) ও মৃত হাউসা ওরফে হাউস মিয়ার ছেলে আমজাদ হোসেন (৬০)।
মামলা বিবরণে সুত্রে জানা যায় যে , ২০০০ সালের ১১ মে পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের আতাউল বাদির বাড়িতে গিয়ে তাহার মেয়ে মঞ্জিলা ওরফে মুরশিদাকে (৪১) তার বাড়িতে নিয়ে যায়। প্রকাশ থাকে যে, তার দেবর আশরাফ আলীর সাথে মামলা-মোকদ্দমা, ঝগড়া-বিবাদ হওয়ায় মঞ্জিলা প্রায় ২ মাস যাবৎ সেখানেই থাকতেন। হঠাৎ ১৩ মে বাদির বাড়ি এসে আমজান জানায় তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে বাদি প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পারেন আতাউল ও তার স্ত্রী মেরিনাসহ আঃ বারীক, হিরা ও আমজাদ ১২ মে মঞ্জিলাকে মেরে ফেলার গোপন পরামর্শ করে এবং ওই দিনই বিকাল অনুমান ৪ টার দিকে মঞ্জিলাকে মারপিট করে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যার ঘটনা বলে প্রচার করে।
এ ঘটনায় নিহতের মা খালেদা বেওয়া বাদী হয়ে ১৪ মে পাঁচবিবি থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ বুধবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন আদালত।
এ মামলার রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পিপি ও আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।