ভাঙ্গুড়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রেলের জায়গা ভরাট করার অভিযোগ

সিরাজুল ইসলাম আপন, ক্রাইম রিপোর্টার (পাবনা): পাবনার ভাঙ্গুড়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক টুকুনের বিরুদ্ধে রেলের জায়গা ভরাট কার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা পরিষদের পাশে রেলগেটের সংলগ্ন প্রায় ৬৬ শতাং জায়গা ভরাট করছেন তিনি। জানা যায়, ঈশ্বরদী-জয়দেবপুর রুটে ভাঙ্গুড়া উপজেলায় প্রায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার রেললাইনের উভয় পাশে রয়েছে কয়এক শত বিঘা আবাদি জমি ও খাল। তৎকালীন সময় থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা এসব রেলের জায়গা ভোগ দখল করছে। অনেকে অবৈধভাবে রেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই এসব জমি খনন করে পুকুর নির্মাণ করেছেন। কেউ কেউ আবার রেলের খাল ভরাট করে ভবন নির্মাণ করেছে। নির্মিত এসব ভবন গ্রাম অঞ্চলে হয়েছে আবাসিক এবং শহরে হয়েছে বিপণী বিতান। সম্প্রতি উপজেলা পরিষদের পাশে রেল রেললাইনের পাশের নিচু জায়গা মাটি ফেলে ভরাট করছে সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক টুকুন।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ থেকে শরৎনগর রেলস্টেশন পর্যন্ত এক কিলোমিটার রেল লাইনের দুপাশে শতাধিক বিঘা জমি চাষবাস করছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে গোলাম ফারুক টুকুন প্রায় দুই বিঘা নিচু জায়গায় রেলের অনুমতি না নিয়ে মাটি ফেলে ভরাট করছে। এই স্টেশনের পাশে অনেকেই জায়গা দখল করে আরসিসি ভিত দিয়ে বাউন্ডারি নির্মাণ করেছেন।

এবিষয়ে স্থানিয়রা বলেন, আমাদের বসবাস করার কোন জায়গা না থাকায়র আমরা অস্থায়ি ঘর নির্মাণ করে ছেলে মিয়ে নিয়ে বসবাস করছি। ইউপি চেয়ারম্যান অনেক সম্পদ সালি হওয়া সত্বেও সে এই রেলের জায়গা ভরাট করে স্থায়ি স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করবে বলে শুনেছি।

মাটি ভরাটের বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন, রেলের জমি হলেও নিচু, তাই ভরাট করছি। এ বিষয়ে রেলের অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাহিদ হাসান খান বলেন, রেল লাইনের পাশে মাটি ফেলার বিষয়টি লক্ষ্য করেছি। কিন্তু এটা রেলের জায়গা কিনা জানা নেই।

এ বিষয়ে রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় ভূ- সম্পত্তি কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.