রামগঞ্জে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সাবেক চেয়ারম্যানের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :  লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার লামচর ইউপি চেয়ারম্যান ফয়েজ উল্যাহ জিসানের বিরুদ্ধে সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্যাহর পরিবারের নিকট থেকে চাহিদা মোতাবেক চাঁদা না পেয়ে নানা ভাবে প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে। সৃষ্ট ঘটনায় সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্যাহর লন্ডন প্রবাসী পুত্র আব্দুল্লা আল মামুন একাধিক ভিডিও র্বাতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্শনের পাশাপাশি আরেকপুত্র ফয়েজ আহমেদের স্ত্রী হাফসা রিমু থানায় জিডি ও আদালতে একাধিক মামলা করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং চেয়ারম্যানের লোকজনের সযোগীতায় চেয়ারম্যান ফয়েজ উল্যাহ জিসান বীরদর্পে সম্পত্তির উপর পাকা মার্কেট নির্মান অব্যাহত রেখেছে।

সুত্রে জানায়, উপজেলার পানপাড়া বাজার এলাকায় লামচর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্যাহর লন্ডন প্রবাসী পুত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ফয়েজ আহমেদ গংদের মালিকীয় সম্পত্তির উপর বহুতল মার্কেট নির্মান করার পাশাপাশি মার্কেটের পাশে জেলা পরিষদের সম্পত্তি লীজ নিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত ভোগ দখল করে আসছে।

গত ইউপি নির্বাচনে মোহাম্মদ উল্যাহর দ্বিতীয় স্ত্রী মাহেনারা নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হলে ফয়েজ উল্যাহ জিসান স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নিবার্চিত হয়। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে ফয়েজ উল্যাহ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহন করার পরেই মোহাম্মদ ঊল্যাহর পরিবার থেকে ৬০লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। উক্ত টাকা না দেওয়ায় লক্ষীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে ম্যানেজ করে জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী মোঃ নাজিমুল হক সরকারের স্বাক্ষরিত ২১জানুয়ারী-২৩ লজেপ/প্রকৌ/২০২৩/৩০ নং স্বারকে যাত্রী ছাউনী নির্মান করতে মের্সাস সাফওয়ান ট্রেডার্সকে ওর্য়াক অর্ডার প্রদান করে।ওই ওয়ার্ক অডার দিয়ে চেয়ারম্যান ফয়েজ উল্যাহ জিসান সম্পত্তি দখলের মিশন শুরু করে এবং রাতের আধারে জেলা পরিষদ মার্কেট নির্মানের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়। সোমবার সকালে লন্ডন প্রবাসী আব্দুল্লাহ আল মামুন মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, সম্পত্তি দখলে ব্যাপরোয়া হয়ে চেয়ারম্যান জিসান হয়রানী থেকে রক্ষা পেতে আমার ভাই ফয়েজ আহমেদ স্ত্রী হাফসা রিমু বাদী হয়ে জিডি ও লক্ষীপুর আদালতে মামলা দায়ের করলেও নির্মান কাজ অব্যাহত রেখেছে। আমার ভাই ফয়েজ আহমেদ বাধা দিলে চেয়ারম্যান জিসান মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে। এব্যাপারে জানতে চাইলে লামচর ইউপি চেয়ারম্যান ফয়েজ উল্যাহ জিসান বলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সম্পত্তি উদ্ধার করে মার্কেট নির্মান করছে। আমি চেয়ারম্যান হিসেবে সরকারী কাজে সহযোগীতা করছি। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, মোহাম্মদ উল্যাহর পুত্র ফয়েজ আহমেদের লীজ বাতিল করে মার্কেট নির্মান করছি। সরকারী বিধিমোবেক সকল কার্য সম্পাদনা করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.