হাকিকুল ইসলাম খোকন, প্রতিনিধি আমেরিকাঃ
যুক্তরাষ্ট্রস্থ চট্টগ্রাম সমিতির বহুল আলোচিত নির্বাচনের ফলাফল ২৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। ১৯ আসনের কার্যকরী কমিটির নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৯ আসনে জয়ী হয়েছেন ‘তাহের-আরিফ প্যানেল’র প্রার্থীরা। সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ১০ আসনে জিতেছেন ‘মাকসুদ-মাসুদ প্যানেল’র প্রার্থীরা। নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র সাংবাদিক সাহাবউদ্দিন সাগর শুক্রবার অপরাহ্নে কমিশনের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার শেখ মোহাম্মদ খালেদসহ সকল কমিশনারের স্বাক্ষরিত ফলাফলের কপি বাপসনিউজ এর সংবাদদাতাকে প্রদান করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০ অক্টোবর নিউইয়র্ক, পেনসিলভেনিয়া এবং কানেকটিকাট স্টেটে ৪ কেন্দ্রে দিনভর ভোট গ্রহণের পর তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি চ্যালেঞ্জ ভোটের কারণে। সেই ভোট ৬টির গণনা শেষে চ’ড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হলো। ‘তাহের-আরিফ প্যানেল’র বিজয়ীরা হলেন : সভাপতি-মো. আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক-মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ, কোষাধ্যক্ষ-শফিকুল আলম, সহ-কোষাধ্যক্ষ-মো. নুরল আমিন, দফতর সম্পাদক-অজয় প্রসাদ তালুকদার, সহকারি দফতর সম্পাদক-ইমরুল কায়সার, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক-এনামুল হক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক-মো. জাবের শফি এবং ক্রীড়া সম্পাদক-মো. ইসা। অপরদিকে ‘মাকসুদ-সিরাজি প্যানেল’র বিজয়ীরা হলেন : সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট-মো. মোক্তাদির বিল্লাহ, ভাইস প্রেসিডেন্ট-আলী আকবর বাপ্পী ও আইয়ুব আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-ইকবাল হোসেন ভ’ইয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক-মো. হারুন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক-মো. ফরহাদ, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক-আকতার-উল আজম এবং নির্বাহী সদস্য-নুরুস সাফা, শাহ আলম এবং শওকত আলী।
নানাবিধ কারণে দীর্ঘ ১০ বছর কোন নির্বাচন হয়নি চট্টগ্রাম সমিতির। এ কারণে বীর চট্টলার প্রবাসীরা হতাশায় নিপতিত হয়েছিলেন। অবশেষে ১৮ মাস আগে সমিতির কান্ডারিগণের পরামর্শে একটি অন্তর্বতীকালীন কমিটি ঘোষণা করা হয় গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ সুগম করতে। তাদের দীর্ঘ প্রয়াসে গঠিত নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমেই এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফল ঘোষণার পর ‘তাহের-আরিফ প্যানেল’র সমর্থকেরা আনন্দ-উৎসব করেছেন ব্রুকলীনের চার্চ-ম্যাকডোনাল্ডে। তবে সেখানে উপস্থিত হতে পারেননি বিজয়ী সভাপতি মো. আবু তাহের। সপ্তাহখানেক আগে পেনসিলভেনিয়া স্টেটের ফিলাডেলফিয়ায় নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য প্রদানের সময় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এখনো সুস্থ হননি। তার জন্যে সকলের দোয়া চেয়েছেন এই প্যানেলের সমর্থকরা। চিকিৎসারত অবস্থায় থেকেও তাকে বিপুল বিজয় দেয়ায় ভোটারগণের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
এদিকে, বিজয়ীদেরকে অভিনন্দনের পাশাপাশি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়ায় নির্বাচন কমিশনের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম এ রহিম, সমিতির সাবেক সভাপতি এবং ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফ, সাবেক সভাপতি কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম, সাবেক সভাপতি সারওয়ার জামান সিপিএ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ, আব্দুল কাদের মিয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি আলহাজ্ব কাদের মিয়া, সাবেক নির্বাচন কমিশনার এবং উপদেষ্টা আবু তালেব চৌধুরী চান্দু, মূলধারার রাজনীতিক ও সমিতির আজীবন সদস্য খোরশেদ খন্দকার, সাবেক ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ রফিক আহমেদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক আফতাব মান্নান, আজীবন সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, মিরেশ্বরাই সমিতির সাবেক সভাপতি জিএম ফারুক, চবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ইউএসএ’র সভাপতি অধ্যাপক সোলায়মান, ব্যাংকার ফজলুল কাদের চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ, নুর মোহাম্মদ সওদাগর, মিরসরাই সমিতি ইউএসএ’র সভাপতি মেজবা আহমেদ এবং তাহের আরিফ প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য-সচিব কামাল হোসেন মিঠু প্রমুখ।