বদলগাছী গরু ছাগলের অন্যতম চারণভূমি এখন প্রাচীন প্রত্নত্মাতিক নিদর্শন ঐতিহাসিক হলুদ বিহার

এমদাদুল হক দুলু, বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় গরু ছাগলের অন্যতম চারণভূমি এখন প্রাচীন প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শন এতিহাসিক হলুদ বিহার। বিহারের উপর গো-ছাগলের মলমুত্রে বসার জায়গা অপিরস্কার হয়ে পড়েছে। বিশ^ ঐতিহ্যের প্রাচীন নিদর্শনের আলোচিত এক নাম ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার। পাহাড়পুরের অদুরে অবস্থানরত আরো একটি প্রাচীন প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শন হচ্ছে ঐতিহাসিক হলুদবিহার। হলুদ বিহার বিহারের নিচে জায়গা জমি দিনে দিনে বেদখল হয়ে যাচ্ছে। অবৈধ দখলের কারনে দর্শনার্থীরা বিহারের উপর উঠতে বিরম্বনার শিকার হচ্ছে। এমন কি বিহারে উঠার রাস্তা পর্যন্ত দখল হয়ে গেছে। পাহাড়পুর দেশ বিদেশ থেকে দর্শনার্থী, পর্যটন ঘুরতে এসে তাদের দৃষ্টিকারে হলুদবিহারের উপর। দর্শনার্থীরা ঘুরতে এসে হলুদবিহার দেখে হতবাক হয়ে পরেন। এখানে রক্ষনা বেক্ষনের জন্য কোন সরকারি জনবল নেই। বিহারের জায়গা বেদখল হয়ে যাচ্ছে। বিহারটি যেন গো ছাগল চড়ানোর চাতালে পরিনত হয়েছে। পাহাড়পুরের সমসাময়িক সময়ে নির্মিত হলুদবিহার বিশ^ ঐতিহ্যের সম্ভাব্য তালিকায় রয়েছে। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় অস্তিÍত্ত¡ হারাতে বসেছে ঐতিহাসিক হলুদবিহার। এলাকাবাসী জানায় হলুদ
বিহারের প্রতœতাত্তি¡ক এরিয়া থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে বিহারটির সুরক্ষাবেষ্টুনী তৈরী করতে হবে। দেখাশোনার জন্য জনবল রাখতে হবে। সেই সাথে পুনঃসংস্কার করতে হবে। বিহারের উত্তর দিকে ফাঁকা মালিকানা জায়গা রয়েছে। ফাঁকা জায়গা জমি অধিগ্রহন করে এখানে সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন আকারে গড়ে তুললে বিহারের তিনগুন সুন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। তথ্য সংগ্রহকালে কয়েকজন দর্শনার্থী জানান আমরা পাহাড়পুরে এসেছিলাম সেখান থেকে হলুদ বিহার। হলুদ বিহার যে এতো অবহেলিত এটা দুঃখজনক। কারন হিসাবে তারা বলেন দেশে জনসংখ্যা বেড়ে চলেছে। সে তুলনায় সংকীর্ন হয়ে পড়ছে বিনোদনের জায়গা। বিহারের উত্তর পাশে ফাঁকা জায়গা যদি মালিকানা হয় তাহলে অধিগ্রহন করে নিয়ে হলুদ বিহার পর্যটন আকারে গড়ে তোলার পাশাপাশি প্রাচীন এই নিদর্শনের অস্তিত্ত¡ সুরক্ষা পাবে। এতে এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান বাড়বে, দোকানপাট বাড়বে এবং রাজস্ব পাবে সরকার। স্থানীয় লোকজন বলেন হলুদ বিহারের জায়গা বেদখল বা এর সুন্দর্য নষ্টের জন্য দায়ি কর্তৃপক্ষ নিজেই। বারবার কর্তৃপক্ষের কর্তা ব্যক্তিরা হলুদ বিহার দেখতে এসে ঘোষনা করেন সুরক্ষা বেষ্টুনী নির্মানের কিন্তু বাস্তবে তাঁদের কোন উদ্দোগ দেখা যায় না।

এখানে কোন জনবল নেই জন্যই দিনের পর দিন এই বিহার অস্তিত্ত¡ হারিয়ে যাচ্ছে। পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার কাস্টোডিয়ান জানান হলুদ বিহারের অবৈধ দখল উচ্ছেদে বার বার উপজেলা প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দিয়ে কোন সহযোগিতা পাইনি। জানতে চাইলে প্রতœতত্ত¡ অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক ড. মোছাঃ নাহিদ সুলতানাকে বা বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোন রিসিভ করেন নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.