কুসংস্কার দূর করতে সংস্কৃতির বিকাশ জরুরি ……খাদ্যমন্ত্রী

জাকির হোসেন, নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন সংস্কৃতির বিকাশ ঘটলে, কুসংস্কার ভাঙ্গে, দেখায় আলোর পথ। সম্প্রীতির বন্ধন করে শক্ত। একারণে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কৃষ্টি কালচার রক্ষায় পদক্ষেপ নিয়েছে বর্তমান সরকার।
বুধবার(২৫ অক্টোবর) বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিবপুর বারোয়ারী দূর্গা মন্দির কমিটির আয়োজনে শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সমতলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর  নৃত্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবছরের ন্যায় এবারো শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমীর পরেরদিন একাদশীতে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির হিসাবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী ও নওগাঁ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদার।
অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সমতলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জীবনমান উন্নয়নে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে নওগাঁ জেলায় ক্ষুদ্র  নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে ত্রিশুল নামে একটি সংগঠন। যার নেতৃত্ব দিচ্ছে সংগীত ও নৃত্য অনুরাগী প্রকৌশলী তৃণা মজুমদার।  ত্রিশূল দেশ বিদেশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর  সংস্কৃতি তুলে ধরতে কাজ করছে। বিদেশ থেকে তারা সন্মানও বয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।
শিবপুর বারোয়ারী দূর্গা মন্দিরের আয়োজনে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী সাঁওতালী নৃত্য প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়ে আসছে বংশ পরস্পরায়। আমরা এটাকে ধরে রাখতে চাই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন,দেশকে উন্নত করতে হলে সকল সম্প্রদায়কে সমানভাবে তৈরী করতে হবে। তাই মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে তাদের জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কৃষ্টি কালচার যাতে হারিয়ে না যায়, তারা অন্য ধর্মের প্রতি যাতে আকৃষ্ট না হয়, সে জন্যই ১৯৬২ সাল থেকে আমরা এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছি। আগে অল্প পরিসরে হলেও বর্তমানে তা বৃহৎ পরিসরে হচ্ছে।
তিনি বলেন,বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রায়িক দেশ। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমরা যার যার ধর্ম পালন করবো। প্রত্যেক ধর্মকে আমরা সম্মান করবো। ধর্মের গোঁড়ামীকে আমরা পছন্দ করি না। নৃত্য প্রতিযোগিতায় মিলন মেলায় পরিণত হয়।এখানে ভাবের আদান প্রদান হয়।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারী -পুরুষ ও তরুণ-তরুণীরা এ নৃত্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। এবার ৩৫ দল এই নৃত্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমতিয়াজ মোরশেদ এর সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ জেলার জেলা প্রশাসক মো: গোলাম মওলা, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক , নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ, নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইদুল ইসলাম  এবং  ত্রিশুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রকৌশলী তৃণা মজুমদার।
পরে খাদ্যমন্ত্রী প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার হিসাবে টেলিভিশন ও নৃত্য সামগ্রী তুলে দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.