কয়েক জন নেতা বলেছেন-বিএনপি’র সিটি নির্বাচনে যাওয়া উচিত

কালের সংবাদ ডেস্কঃ ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মানবজমিনকে বলেন, সিটি নির্বাচন নিয়ে আমরা এখনো আগের সিদ্ধান্তেই আছি। নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পূর্বে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপি সিটি নির্বাচনে অংশ নিবে না। এই সরকারের অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে যাবো না। পদ-পদবি ছাড়া কেউ নির্বাচন করতে চাইলে বিএনপি’র করণীয় কি জানতে চাইলে মোশাররফ হোসেন বলেন, এই বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কোনো পদক্ষেপ নিলে স্থায়ী কমিটি বসে সিদ্ধান্ত জানাবে। তবে বিএনপি সিটি নির্বাচন করবে না।

শোনা যাচ্ছে ৫ সিটিতেই দলটির ২ শতাধিক নেতাকর্মী কাউন্সিলর প্রার্থী হতে চাইছেন।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, আসন্ন ৫ সিটি নির্বাচনের ভোট হবে দলীয় প্রতীকে।

ইভিএমের মাধ্যমে ২৫শে মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন, ১২ই জুন খুলনা ও বরিশাল এবং ২১শে জুন রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণ হবে। ইতিমধ্যে ৫টি সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে।

৫ সিটির মধ্যে ৪ সিটিতে বিএনপি ঘরানার প্রার্থীরা আলোচনায় রয়েছেন।

সূত্র জানায়, দলের মূল প্রার্থীদের কেউ এবার সিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। তবে তাদের সমর্থন নিয়ে অন্য কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। নেতারা বলছেন, সরকার নানা কারণে সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু করার চাপে রয়েছে। এক্ষেত্রে দলের প্রার্থী না হলেও নিজস্ব ঘরানার প্রার্থীরা নির্বাচন করলে তারা নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারবেন। এমন অবস্থায় তারা জয়ী হলে জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি বড় বার্তা হবে।
সরকারের জনসমর্থন নেই বিএনপি’র এমন বক্তব্য এতে প্রমাণিত হবে। অন্যদিকে সরকার যদি নির্বাচনে কারচুপি করে নিজেদের প্রার্থীদের জয়ী করতে চায় তাহলে এটিও একটি বার্তা হবে আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বিএনপি সিটি নির্বাচন নিয়ে কৌশল নির্ধারণ করেছে।

স্থায়ী কমিটির বেশির ভাগ নেতা আসন্ন সিটি নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। বৈঠকে অন্তত ২ জন নেতা বলেছেন-বিএনপি সিটি নির্বাচনে অংশ নিলে দাবি আদায়ে চলমান আন্দোলন জোরালো হবে। নেতাকর্মীরা সক্রিয় হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.