মোঃ আনিছুর রহমান, বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। কারণ পৃথিবীতে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটি দিক আছে যা পার্থক্য নির্ণয় করার জ্ঞানবুদ্ধি মানুষের রয়েছে। এখানেই অন্য প্রাণীদের চেয়ে মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব। কিন্তু জন্মসূত্রে মানুষ হলেই কি আদতে মানুষ হওয়া যায়? মানবশিশু যখন জন্মগ্রহণ করে, তখন সে থাকে শুভ্র মুক্তোর মতো নিষ্কলুষ ও পবিত্র, সব ধরনের অন্যায় আচরণ, পরশ্রীকাতরতা ও বিভেদমূলক চিন্তাধারা থেকে মুক্ত। কিন্তু শয়তানের কুমন্ত্রণায় ও আমাদের পরিবেশের নানা অসঙ্গতি দেখে মানুষে-মানুষে বিভেদের প্রাচীর তৈরি করে। মানবসমাজে নিয়ে আসে বিভীষিকা। আজ ধর্ম, বর্ণ, জাতি, ভাষা ও চিন্তাধারা ভেদাভেদে একাংশ মানুষ হয়েছে মানুষের শত্রু। সমাজ যেমন এগোচ্ছে, নানাভাবে পেছাচ্ছেও। চতুর্দিকে আজ নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ হারানোর হাহাকার। অথচ এ পৃথিবীতে মানবিক মূল্যবোধকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সমাজ গঠনের অসংখ্য নজির রয়েছে।
এমনি আজ একজন তরুন ব্যবসায়ি রাজনৈতিক কোন অঙ্গনে নেই তার কোন তেমন বিচরন। সমাজের কাছে তার ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। সে চায় এই সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ যেন এগিয়ে যায়। দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হোক। তাতে তাদের পিছনে খরছ করে সমাজ গঠনে নেই তার কোন কার্পন্যতা। এই তরুন ব্যবসায়ির নাম কামরুজ্জামান বাবলু।
আজ তিনি পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বেনাপোল পৌরসভা এলাকায় অসহায় দুস্থ দুিরদ্র ১২৫০ পরিবারের মানুষের মাঝে বিতরন করেছেন শাড়ি লুঙ্গি, থ্রি-পিছ ও ৬০০ পরিবারকে দিয়েছেন নগদ অর্থ। যা শুধু বেনাপোল নয় পুরো শার্শা এলাকায় এই প্রথম কোন জনপ্রতিনিধি না হয়েও অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ এর আনন্দ ভাগাভগির জন্য পাশে দাড়িয়েছেন।
এছাড়া ইতিপুর্বেও তিনি আরো কিছু সমাজের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষকে দিয়েছেন ঈদ শুভেচ্ছার নগদ অর্থ।
আজ বেনাপোল পৌর এলাকায় এসব ঈদ উপহার সামগ্রী বিতারন এর সময় তুরুন ব্যবসায়ি বাবলুর সাথে ছিলেন বেনাপোল পৌর সভার সুযোগ্য মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নাসির উদ্দিন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি এনামুল হক মুকুল, শার্শা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অহেদুজ্জামান অহেদ প্রমুখ।
বেনাপোল পৌর সভার একজন নাগরিক বলেন, সমাজে স্বীকৃতির ওপর নির্ভর করেই মানুষের সম্পূর্ণতা। কিন্তু মানুষ দল বেঁধে বাস করলেই তা সমাজ হয় না। প্রত্যেক মানুষ একে অপরের কল্যাণের কথা ভেবে সাধ্যমতো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে নিয়ম ও শৃঙ্খলার অদৃশ্য বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বাস করলে সেই জনগোষ্ঠীকে সমাজ বলে। এই সমাজকে বাঁচিয়ে রাখা এবং এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ব্যক্তিমানুষের অন্যতম দায়বদ্ধতা। এক সমাজে ধনী, গরিব, সহায়–সম্বলহীন নানা রকম মানুষের বাস। শিতি, অশিতি সবাইকে নিয়েই সমাজ। সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়াই হলো সমাজসেবা। কিন্তু কেমন আছেন পাশের বাড়ির মানুষটি? এমন প্রশ্ন করার মতো সময়ও আমাদের নেই। ক্রমেই আমরা যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছি। এতে সমাজে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তাই আমাদের চিন্তার পরিবর্তন জরুরি। এই রকম চিন্তাশীল ও সমাজ উন্নয়ন এর ভবিষ্যাৎ ধারক বাহক তিনি কামরুজ্জামান বাবলুকে মনে করেন। তিনি আরো বলেন, তার কোন লোভ লালসা নেই। সে নিজে ব্যবসা করে। এবং সকলের অজান্তে সে গ্রামের মানুষকে সাহয্য করে।