শার্শার এলাকায় বাহিনী তৈরী কৃষক শ্রমিক মেহনতী মানুষকে জিম্মি ১৫ টি বছরের জিম্মি থেকে মুক্ত হবে ইনশাল্লাহ– আশরাফুল আলম লিটন

মোঃ আনিছুর রহমান, বেনাপোল প্রতিনিধিঃ যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর সভার সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেছেন, শার্শা উপজেলার এই বাগআঁচড়া ইউনিয়নের বাজারগুলোর প্রতিটি দোকানে এবং মোড়ে মোড়ে ভোট প্রার্থনা করেছি। আমি তাদের চেহারা তাদের কথায় বুঝেছি আমি নির্বাচন করে কোন ভুল করিনি। আমি যদি নির্বাচন না করতাম তাহলে এই মানুষগুলোর অন্তর হাসত না। বিগত ১৫ টি বছরের মত এই মানুষগুলি আরো ৫ বছর পিছিয়ে যেত। শার্শার মুষ্টিমেয় মানুষ ছাড়া কেউ আর প্রান খুলে হাসে না। আমরা হাসতে ভুলে গিয়েছি বিগত ১৫ টি বছরের অত্যাচার নির্যাতন মামলা হামলা ভয় ভিতী প্রদর্শনের কারনে। এই শার্শার সন্মানি মানুষ আর চায়ের দোকানে আড্ডা দেয় না। কারন শার্শার বিভিন্ন এলাকায় বাহিনী তৈরী করে সরল প্রান কৃষক শ্রমিক মেহনতী মানুষকে জিম্মি করে রাখার প্রবনতা, ভীতু করে রেখেছে এলাকার মানুষকে। আজ ঘুরে মনে হয়েছে তাদের একটি ভোট দেওয়ার জায়গা ছিল না। তারা তাদের কথা ব্যক্ত করেছে আমরা ভোট দেওয়ার জায়গা না পেয়ে আজ জিম্মি দশায় রয়েছি ১৫ টি বছর। কথাগুলো প্রধান অতিথি হিাসেব শার্শার বাঁগআচড়া বাজারে দ্বাদশ জাতিয় সংসদ নির্বাচনের পথ সভায় বলেন আশরাফুল আলম লিটন।

সোমবার বিকাল সাড়ে ৪ টার সময় শার্শার সকর স্তরের মানুষের আয়োজনে দ্বাদশ জাতিয় সংসদ নির্বাচন এর বাগআঁচড়া বাজারে নির্বাচনী পথ সভায়  সভাপতিত্ব করেন যশোর জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা আব্দুল মান্নান মিন্নু । প্রধান অতিথি হিসাবে আশরাফুল আলম লিটন বলেন, আপনারা যাকে ক্ষমতা দিয়েছিলেন সেই মানুষ যদি আপনাকে সন্মানিত না করে তাহালে তাকে ভোট দিয়ে লাভ কি?  আজ আপনারা যদি ভোট সেন্টারে যেতে না পারেন এরকম কথা ভোটারদের সাথে আলাপ করলে ভোটাররা বলেন, আর নয়, অনেক ভুল করেছি। মাথায় কাফনের কাপড় বেধে আমরা ভোট দিতে সেন্টারে যাব।

তিনি আরো বলেন, আমাকে ভোট দিলে কোন মানুষ অসন্মানিত হবেন না। আমি আপনাদের অবাধ্য সন্তান নই। আমি বিচার করে পয়াসা নেওয়ার লোক নই। আর আমার সাথে যারা থাকবে তারা ও এই নিতীতি বিশ্বাস ও আদর্শ নিয়ে থাকবে।আর আপনাদের যদি আমার কোন নেতা কোন কর্মী কষ্ট দেয় সেই লোক আমার সাথে থাকতে পারবে না। কারন যে মানুসকে সন্মান করবে, ইজ্জত করবে দান করবে সেই মানুষকে আমি ভালবাসব। সেই মানুষ সমাজের জন্য কাজ করতে পারবে।

অর্থ জীবনের জন্য অর্থ বহ নয়। মানুষের জন্য যে সময় দেয় মানুষকে যে ভালবাসে যে মানুষকে সন্মান দেয় সেই মানুষের জীবন অর্থবহ। আমার কাছে সকলে থাকবে সমান। আমার কাছে আসতে গেলে কারো মাধ্যেমে আসতে হবে না। আমার যারা নেতা তারা যেমন আসবে আপনারা ও ঠিক তেমনী আসবেন। কোন সংকচ করবেন না। আপনাদের জন্য আমার দরজা সকলের মত থাকবে খোলা। আপনারা বলেন একজন এমপির কেন স্কুলে সভাপতি হতে হবে। সভাপতি হবে সমাজের শিক্ষিত মার্জিত যে মানুষ স্কুলে সময় দিতে পারে তেমন মানুষ। আজ এমপি হয়ে সময় দেওয়া যাবে না তাহলে কেন স্কুলের সভাপতি হতে হবে। কারন সেখানেও রয়েছে দুর্নিতী। শিক্ষক নিয়োগ বানিজ্য।আজ যে  স্কুলের সম্পদ দিয়ে স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছে তাদের দাওয়াত দেয়া হয় না। তাই স্থানীয় মানুষকে সভাপতি বানাতে হবে। কারন সে জানে এই সম্পাদ কার। যাদের প্রতিষ্ঠান তাদের যদি ইজ্জত না দেওয়া হয় তাহলে তারা আর কোন প্রতিষ্ঠান গড়বে না। তিনি বলেন শার্শার সাবেক এমপি আমাদের তবিবার রহমান সর্দার আমাদের ভালবাসা দিয়েছে মায়া দিয়েছিল তখন শার্শার মানুষ ভাল ছিল।

তিনি বলেন আজ শার্শার মানুষ তাদের পুঞ্জিভুত কষ্ট নিয়ে এক হয়েছে। তারা একত্রিত হয়েছে যারা ৭ তারিখে ভোট দিয়ে তার জবাব দিবে। আজ দেখেন তারা নানান ধরনের নাটক মঞ্চস্থ করছে। আমার নেতা কর্মীদের বাড়ি থেকে গামছা গায়ে লুঙ্গি পরনে এ ভাবে ধরে নিয়ে মঞ্চে নিয়ে একটি ছবি তুলে ফেসবুকে ছেড়ে দিচ্ছে। কত মানুষ থেকে তারা দুরে চলে গেছে এ নাটক দেখলে বুঝা যায়। মানুষতো আর ফিডার খায় না। নাটক মঞ্চস্থ বাদ দিয়ে জনগনের কাছে যান। তারা যদি ক্ষমা করে তবে ক্ষমা পাবেন। কারন মানুষের যন্ত্রনা ব্যাথা কষ্ট যদি বুঝতেন তাহলে আজ মানুষ এর চেহারা দেখলে বুঝতে পারতেন। আজ মানুষকে ভোটের মাঠে যেতে নিশেধ করতেন না। সকলে ভোট দিতে যাবেন। কারন কারো দয়ায় আপনারা চলেন না। আপনারা আপনাদের টাকায় বাজার করেন । এসব হুমকি ধামকিতে ভয় পাবেন না।

যশোর জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা আব্দুল মান্নান মিন্নু বলেন, আজ সময় এসেছে। আপনারা কোন ভয় পাবেন না। সকলে ভোটের মাঠে যাবেন। সেখানে আপনারা আপনাদের ভোট দিয়ে অধিকার আদায় করে নিবেন। ওরা দুর্বল ওরা অত্যাচারি তাই আপনাদের ভয় দেখাচ্ছে।

শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সন্মানিত সদস্য রবিউল ইসলাম বলেন, ডাকাত যদি কারো বাড়ি ভাত খায় সে সেই বাড়ি ডাকাতি করে না। অথচ শার্শার এমপি আমার বাড়ি ভাত খেয়ে আমাকে হত্যা করতে গুলি করতে চেয়েছিল।
শার্শা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক শহিদুজ্জামান  বিটন বলেন, বিগত ১৫ টি বছর আমরা জিম্মি দশায় আছি। আমরা মাথা উচু করে কথা বলা ভুলে গেছি। আর নয় । এবার ৭ জানুয়ারী ভোট দিয়ে তার জবাব দেওয়া হবে। আমাদের ভয় দেখিয়ে লাভ নাই। কার কত শক্তি ওই দিন বুঝা যাবে। জনগন ১২ টার আগে সেই শক্তি প্রয়োগ অর্থাৎ ভোট দিয়ে তাদের বিতাড়িত করবে ইনশাল্লাহ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, শার্শা উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যন মেহেদী হাসান, উপজেলা  আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক ইলিয়াছ আযম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখ কোরবান আলী,  বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শেখ সারোয়ার, কোষাধ্যাক্ষ খোদাবক্স,উপজেলা আওয়ামীলীগের সন্মানিত সদস্য রবিউল ইসলাম, উপদপ্তর সম্পাদক সাধান গোস্বামী, কায়বা ইউপি চেয়ারম্যান আলতাপ হোসেন, পুটখালী ইউপি চেয়ারম্যান গফফার সর্দার আওয়ামী নেতা আশাদুজ্জামান হাই, বাগআচড়া ইউপি সদস্য আসাদুজ্জমান আসাদ, নীলা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন , যশোর জেলা আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের কার্যকরি সদস্য জাকির হোসেন আলম।

Leave a Reply

Your email address will not be published.