আমতলী পৌর নির্বাচনে নামকাওয়াস্তে ৮ মেয়র প্রার্থী!

সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ বরগুনার আমতলী পৌরসভা সাধারণ নির্বাচনে মেয়র পদে ১০ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে ৮ প্রার্থী নামকাওয়াস্তে মেয়র প্রার্থী হয়েছেন এমন দাবী সাধারণ ভোটারদের। এ ৮ প্রার্থীকে ৯০ ভাগ ভোটার চিনেন না। শুধুমাত্র নিজেদের নাম জাহির ও অন্য প্রার্থীকে সহযোগীতা করতেই তারা প্রার্থী হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত এরা প্রার্থী থাকলে তাদের সকলেই জামানত হারানোর আশঙ্কা রয়েছে।

 

জানাগেছে, আমতলী পৌরসভা নির্বাচন আগামী ৯ মার্চ। গত ১৩ ফেব্রæয়ারী মেয়র পদে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মেয়র মতিয়ার রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল আহসান খাঁন, জিল্লুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, জহিরুল ইসলাম খোকন, নুসরাত জাহান, কামাল মৃধা, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মুহা ইফতেকার হাসান ও জেসিকা তারতিলা জুথি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এদের মধ্যে বর্তমান মেয়র মতিয়ার রহমান ও সাবেক মেয়র নাজমুল আহমান খাঁন  জনগন ও ভোটারদের কাছে ব্যপক পরিচিত।  অপর ৮ জন প্রার্থী জিল্লুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, জহিরুল ইসলাম খোকন, নুসরাত জাহান, কামাল মৃধা, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মুহা ইফতেকার হাসান ও জেসিকা তারতিলা জুথি নাম লেখাতেই মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। এ ৮ প্রার্থীর নেই কর্মী ও সমর্থক। এরা ডামি প্রার্থী হিসেবে মুল প্রার্থীদের সহযোগীতা করতে প্রার্থী হয়েছেন এমন দাবী ভোটারদের। এর মধ্যে নুসরাত জাহান মেয়র প্রার্থী মতিয়ার রহমানের স্ত্রী এবং আবুল কালাম আজাদ তার ভাগ্নে। জেসিকা তারতিলা জুথি কাউন্সিলর জিএম মুছার স্ত্রী। কামাল মৃধা, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মুহা ইফতেকার হাসান এ তিনজনকে কেউ চিনেন না। আমতলী পৌরসভার  ১৫ হাজার ৮ ’শ ৩৯  ভোটারের মধ্যে ৯০ ভাগ ভোটার তাদের চেনেন না এবং জানেন না বলে দাবী সাধারণ ভোটারের। 

 

ভোটার লুৎফর রহমান, স্বপন মিয়া ও  খাদিজা বলেন, ৮ প্রার্থীর মধ্যে কামাল মৃধা, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মুহা ইফতেকার হাসান চেনাতো দুরের কথা নাম শুনিনি। এরাতো শুধু নিজেদের নাম জাহির করতেই প্রার্থী হয়েছেন। 

 

মেয়র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মুহা ইফতেকার হাসান মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

 

মেয়র প্রার্থী কামার মৃধা বলেন, পরিচিতি না থাকলেও অল্প দিনের মধ্যে পরিচিত হয়ে যাব। যে মতে কাজ চলছে। 

 

আমতলী উপজেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শাহাবুদ্দিন পান্না  বলেন, দুই প্রার্থী ছাড়া অধিকাংশ প্রার্থী জনগন চিনেন না। এরা কেন প্রার্থী হয়েছেন তা তারাই ভালো বলতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.