আমার ব্যর্থতাগুলো আপনারায় খুঁজে বের করুন-প্রধান মুন্ত্রী

কালের সংবাদ ডেস্কঃ একদিন সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় সদস্যের যখন এতই আগ্রহ, তা হলে আমার ব্যর্থতাগুলো আপনারায় খুঁজে বের করে দিন, আমি সংশোধন করে দেশ আরো সুন্দর পর্যায়ে নিয়েযাবো।’

যদিও সফলতা-ব্যর্থতা যাচাইয়ের দায়িত্ব আমাদের জনগণের মন্তব্য করে সংসদ নেতা বলেন, ‘সততা ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে জনগণের কল্যাণ বিবেচনা করে কাজ করলে ব্যর্থ হব কেন? কোথায় সাফল্য, কোথায় ব্যর্থতা সেটি জনগণই সব সময়ই বিচার করে এসেছেন তাদের ক্ষমতার মাধ্যমে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিহাস যারা বিকৃত করেছে, আমি যদি ঠিক ’৯৬-এর আগে যাই, তা হলে কাকে রেখে কার বিচার করব- এটি হলো বাস্তবতা। আমি দেখি ’৭৫-এর পর যারাই ছিলেন, এমনকি যারা সত্য কথাটাও জানতেন, তারাও মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিলেন। এটি হচ্ছে দুর্ভাগ্য। রেডিও টেলিভিশন পত্রিকা- পুরনো দিকটায় তাকালে কেউ-ই বাদ যায়নি।

তিনি বলেন, আমার কাজ হলো- মানুষের কাছে সত্য ইতিহাসকে তুলে ধরা। ইতিহাস আজ মানুষের সামনে প্রকাশ পেয়েছে। মানুষ তার চর্চা করছে। আজকের যুবসমাজ ইতিহাস জানতে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী, এটিই বড় বিচার। যারা সত্যটাকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকতে চেয়েছিল, তারাই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে চলে গেছে।

বাংলাদেশের যুদ্ধটা জনযুদ্ধ ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মনে রাখতে হবে- এখানে গেরিলা যুদ্ধ হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাড়ির মুরব্বিকে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান হতে হয়েছে। কিন্তু বাড়ির ভেতরে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দিয়েছে। অস্ত্র রাখতে দিয়েছে। মেয়েরা রান্না করে খাইয়েছে। অপারেশন চালিয়েছে। যে কারণে জাতির পিতা একটি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিলেন।
কিন্তু যারা গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ধর্ষণ করেছিল, তাদের তিনি বিচার করেছিলেন। কিন্তু পঁচাত্তরপরবর্তী সময়ে সব কিছু পাল্টে যায়। মনে হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ করে অপরাধ করে ফেলেছে। তবে এখন/বর্তমানে সেই অবস্থা আর নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published.