কালাইয়ে সবজির দামে হতাশ কৃষক, স্বস্থি ফিরেছে ভোক্তাদের মনে

মোঃ মোকাররম হোসাইন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি:
জয়পুরহাটে কালাই উপজেলাসহ আশপাশ এলাকায় সবজি বাজারে ধস নেমেছে। এতে সবজি চাষিদের উৎপাদন খরচ তুলতে না পারায় এলাকার কৃষকের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পরেছে।জানা যায়, গত কয়েক মাস আগে সবজি বাজারে সবধরনের সবজির মূল্য বেপরোয়াভাবে বেড়ে যায়। এতে শীত মৌসুম শরুর সাথে সাথে এলাকার কৃষকরা ভালো দামের আশায় আগাম আলু, সরিষা, মুলা, ফুলকপি, পাতাকপি, ছিম, গাজর, টমেটো, পালংসহ সবধরনের সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েন। মৌসুমের শুরুতে দুর্যোগপৃর্ণ আবহাওয়া ফলে কৃষকরা সবজির ফলন নিয়ে আশংকা করলেও পরে আবহাওয়া সবজি চাষের অনুকুলে থাকায় সবজি চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছড়িয়ে গেছে। ফলে হাটে-বাজারে এখন ব্যাপক সবজি আমদানী হওয়ায় বাজারে সবজির দাম একেবারে কমে গেছে। এখন বাজারে নতুন আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা, ফুলকপি বড় প্রতিপিস ৩ থেকে ৫ টাকা, পাতাকপি বড় প্রতিপিস ৫ থেকে ১০ টাকা, ছিম প্রতিকেজি ১০ থেকে ২০ টাকা, মুলা প্রতিকেজি ৩ থেকে ৫ টাকা, গাজর প্রতিকেজি ২০ টাকা, টমেটো প্রতিকেজি ২০ থেকে ৪০ টাকা পালংশাক ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে কালাই উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকের কষ্টে রোপন করা শাকসবজি বিক্রি করতে না পেরে জমিতেই নষ্ট করছেন, কেউ নতুন করে আবাদ করতে শাক-সবজি তুলে ফেলে দিচ্ছেন আবার কেউবা নামমাত্র মুল্যে বিক্রি করে পরিস্কার করছেন জমি। এতে করে কৃষকরা হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত, আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষিতে। তাদের অভিযোগ সার বীজের উর্ধগতি এবং বাজারের সঠিক তদারকি না থাকার কারণেই কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
কালাই উপজেলার আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের হাতিয়র গ্রামের ক্রেতা মোঃ নূর আলম মল্লিকও শাজাহান আলী বলেন হাটে-বাজারে সবজির দাম কম অল্প টাকার সবজি কিনলে ব্যাগ ভরে যাচ্ছে।বাজারে সারা বছর সবজির দাম এরকম থাকলেত ভালোই হয়।
এ উপজেলার পৌরসভার বাসিন্দা আঃ মোমিন, ও নিয়াজ উদ্দিন জানান, এক পিস ফুলকপিতে উৎপাদন খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা সেটা এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৫ টাকা, পাতাকপিতে একই খরচ হয়েছে। এক কথা এবার হামাকেরে মুলা, ফুল, কপি পাতাকপি, আর পালংক ও কোনটারই খরচ তুলিবার পারছিনা বাহে।
কালাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অরুণ চন্দ্র রায় বলেন, আগাম চাষ করা সবজিতে কৃষকেরা বিপুল অর্থ পেয়েছে কিন্তু বর্তমান সময়ে সবজির ভরপুর মৌসুম হওয়ায় বাজারে সবজিতে পরিপূর্ণ হয়েছে আর মানুষের চাহিদা কমেছে, তাই সবজির দাম  কম। গতবছর ভালো দাম পেয়ে কৃষক উচ্চমূল্যে বীজ ক্রয় করে অতিরিক্ত ফসল ফলিয়েছে। এ বছর সবজির বাম্পার ফলন হওয়ায় সবজির দাম কমে গেছে। কৃষকরা কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শ করে আবাদ করলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসবে। কৃষি অফিস কৃষকদের আগাম এবং বিভিন্ন রকমের সবজি আবাদেরও পরামর্শ দিচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.