কেশবপুরে আবারো প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেলেন ৮০টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার

শামীম আখতার (খুলনা) যশোরের কেশবপুরে আবারো প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেলেন ৮০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ৫ম পর্যায়ের (২য় ধাপে) সারাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৮,৫৬৬টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেছেন। তারই অংশ হিসেবে কেশবপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার আলতাপোল গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের পুরাতন জরাজীর্ণ সিআইসিটি ব্যারাক প্রতিস্থাপন করে নবনির্মিত একক গৃহসমূহ ৮০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে উপকারভোগীদের মাঝে আনন্দ ও খুশির জোয়ার বইছে।

অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তুহিন হোসেন সভাপতিত্ব করেন এবং ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি তুলে দেন। 

উপজেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বিমল কুমার কুন্ডুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আলমগীর, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এসএম জিল্লুর রশীদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীন, সিনিয়র সহ-সভাপতি তপন কুমার ঘোষ মন্টু, যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কেশবপুর জোনাল অফিসের (ডিজিএম) এস.এম শাহীন আহসান, উপসহকারী প্রকৌশলী (জনস্বাস্থ্য) রায়হান বাপ্পি, কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক আলাউদ্দীন আলা, কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ-উজ-জামান খান। 

স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ তানভীর হোসেন।

 

আলোচনা সভা শেষে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মাঝে  জমির দলিল ও ঘরের চাবি তুলে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে অনেকেই আনন্দ ও খুশিতে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন। এছাড়াও উপকারভোগীরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন।

 

উল্লেখ্য, এর আগে এ উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ে উপজেলা প্রশাসন ১৮৪টি গৃহ নির্মাণের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করে শতভাগ গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করার পাশাপাশি কেশবপুর উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়। ১ম পর্যায়ে প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ ছিল ১’লক্ষ ৭১’হাজার টাকা। ২য় পর্যায়ে প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ ছিল ১’লক্ষ ৯০’হাজার টাকা এবং ৩য় পর্যায়ে প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ ছিলো ২’লক্ষ ৫৯’হাজার ৫’শত টাকা।

 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ অলোকেশ কুমার সরকার, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ আলমগীর হোসেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা পুলোক কুমার সিকদার, উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার আব্দুস সামাদ, ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা কেশবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি শামীম আখতার মুকুল, কেশবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস আর সাঈদ, ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম আনিছুর রহমান, বিদ্যান্দকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন, হাসানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামান তৌহিদ, সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম মুনজুর রহমানসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিকবৃন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.