মথি ত্রিপুরা, রুমা :
সাঙ্গু নদীর ভালবাসায়,
পাহাড়ের প্রকৃতি ছোঁয়ায়,
সবুজের ঘেরা বন কল কাকলির পাখি সুমধুর গানে,
গাছের ফুল ফল ভরা গ্রামের বেড়ে উঠা নাম:বিশম ত্রিপুরা।
বিশম ত্রিপুরা ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দের ৭ জুন বান্দরবানের ছোট মদক রুংসোহ্লা গ্রামের স্বর্গীয় সিগহা ত্রিপুরা ও বাইখতি ত্রিপুরা ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। বিশম ত্রিপুরা প্রথম শ্রেনী থেকে তৃতীয় শ্রেনী পর্যন্ত গ্রামের পড়াশুনা করতেন। তারপর চতুর্থ, পঞ্চম শ্রেনীতে অধ্যয়ন করেন টিমং পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ২০১১ সালে টিমং পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এস এস সি পাস করেন তিনি। এস এস সি পাসের পর ইংরেজি কোর্সে জন্য তিনি ঢাকা নারিন্দায় চলে যান। এ সময় চিরকালের জন্য তিনি তাঁর পিতাকে হারান।
পিতা হারা সন্তান, সে এখন কি করবে? তিনি কিছু ভেবে পাচ্ছিলেন না। তিনি চিন্তা করলেন ” থেমে যাওয়ার জীবন নয় “। তবুও তিনি থেমে থাকেননি। অবিরাম সাহস ও কষ্টকে সংঙ্গী সাথী করে এইচ এস সি তে ভর্তি হন সুনাম ধন্য ঢাকা নটরডেম কলেজে। এখান থেকে ২০১৪ সালে এইচ এস সি পাস করা পরে নিজের এলাকায় এসে পড়াশুনা পাশাপাশি বেসরকারী প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।
বান্দরবানে সরকারি কলেজের বি.এ ভর্তি হওয়া সাথে সাথে ২০২৩ সালে মে মাসের দিকে তিনি সরকারি শিক্ষকতায় নিয়োগ পান। বর্তমানে তিনি থানচিতে জাপারাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককের দায়িত্বে পালন করছেন।
কবি, লেখক সাহিত্যিক হওয়ার কেউ স্বপ্ন দেখে, কেউ আবার অভ্যেসও করে। বিশমের এমনই একটি অভ্যেস শুরু হয়েছিল ছোট কাল থেকে। এই পর্যন্ত নবীন উঠতি কবি হিসাবে সন্মাননা সহ চারটি কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। স্বরচিত কবিতা প্রকাশিত বইগুলোর মধ্যে রয়েছে -১.ইচ্ছাশক্তি ২. অবশেষে বৃষ্টি,৩.কাব্য সারথি ৪.মা- বাবা আমার পৃথিবী।