মোঃ মোকাররম হোসাইন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি:
দেশের সবজি জাতীয় পন্যের মধ্যে প্রধান হচ্ছে আলু।আলু আর ধান কালাইয়ের প্রাণ। সারা দেশের মধ্যে আলুর জন্য দ্বিতীয় স্থান প্রসিদ্ধ জয়পুরহাটের কালাইয়ের হিমাগারে খাবার আলু মজুত তলানিতে আসার কারণে বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়ে গেছে। কালাই উপজেলা কৃষি অফিস ও বিভিন্ন হিমাগার সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় এবার মোট ১০ হাজার ৬২০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৮৯ মেট্রিক টন আলু। উপজেলার মোট ১১টি হিমাগারে ধারণ ক্ষমতা ১ লাখ ১৩ হাজার ১শ মেট্রিক টন। মজুত করা হয়েছিল ১ লাখ ১২ হাজার ১১৩ মেট্রিক টন। আলু সংরক্ষণের মৌসুমে এলাকার আলুচাষি কৃষকসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা এসে আলু কিনে হিমাগারে সংরক্ষণ করে রাখতেন ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ উপজেলার ১১টি হিমাগার থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ১৬ হাজার মেট্রিক টন আলু খাবারের জন্য বের হয়। বর্তমানে ১১ হিমাগারে মজুত আছে মাত্র ৯ হাজার মেট্রিক টন।
অন্যদিকে বীজ আলু রয়েছে ১৪ হাজার মেট্রিক টন। এখন যে আলু আছে এতে করে ১৫ থেকে ২০ দিন সারা দেশে চাহিদা মোতাবেক জোগান দিতে পারবে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে নতুন জাতের আগাম আলু বাজারে আসতে এক থেকে দেড় মাস সময় লাগার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে বাজারে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে প্রতি কেজি আলু এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫ থেকে ৭ টাকা চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।
কালাই পৌরশহরের সবজি ব্যবসায়ী শফিকুল, অশোক কুমার, হবিবরসহ অনেকে জানান, তারা গত সপ্তাহে কেজিতে এখনকার বাজার অনুযায়ী ৫ থেকে ৭ টাকা বেশিতে আলু বিক্রি করছে। এভাবে দাম বাড়লে হয়তো কেজি ১শ টাকা করে বিক্রি করতে হবে।
উপজেলার নওপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ, বেগুন গ্রামের সাজ্জাদুর রহমান,এলতা-ইমামপুরের সাইদুর রহমানসহ অনেকে জানান, নতুন আলু বাজারে আসার আগেই যদি সংকট দেখা দেয় তাহলে কৃষকরা ভালো দামের আশায় নতুন আলুর বয়স হওয়ার আগেই বিক্রি করে দিলে সামনের বছরে আরও আলুর সংকট দেখা দেবে।
এ বিষয়ে কথা হলে কালাই উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা অরুণ চন্দ্র রায় বলেন ,চলতি রবি মৌসুমে এ উপজেলায় ১১ হাজার ৫শ হেক্টর জমি নির্ধারণ করা হয়েছে।
কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামিমা আক্তার জাহান বলেন, উপজেলাতে খাবার আলুর মজুদ চাহিদার তুলনায় কম আছে বলে কৃষি কর্মকর্তার কাছ থেকে জেনেছি। খাবার আলুর মজুদ কম এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা কেউ যেন অতিরিক্ত কৃত্রিম সংকট তৈরী করে আলুর দাম বৃদ্ধি করতে না পারে সে ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বদ্ধ পরিকর।