মোহাম্মদ আককাস আলী, প্রতিনিধি মহাদেবপুর : নওগাঁর পত্নীতলায় দুই বছরের শিশুকে যৌন হয়রানির অভিযোগে দাদা জহুরুল ইসলাম (৫৫)কে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্তের ছেলে শরিফুল ইসলামের থানায় প্রদত্ত এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা ঘোষনগর ইউনিয়নের চন্ডিপুর দোকানীপাড়ায় তিনি স্ত্রী ও ২বছরের শিশু কন্যা সানজিদা আক্তারকে নিয়ে বাস করেন। তাঁর পিতা জহুরুল ইসলাম আলাদা বাড়িতে থাকেন। শরিফুলের পিতা জহুরুল মাঝে মাঝেই তাঁর কন্যা সানজিদাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান এবং পরে দিয়ে যান। গত ১৪/০৮/২০২৪ তারিখে বিকেল আনুমানিক ৫.১০ ঘটিকার সময় বিবাদী তাঁর পিতা জহুরুল তাদের বাড়িতে আসে এবং মেয়ে সানজিদাকে নিয়ে যায়। বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর নিজ শয়ন কক্ষে বিবাদী তাঁর যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্য তাহার হাত দিয়ে সানজিদার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে ও যৌনাঙ্গে আঙুল দিয়ে নাড়াচাড়া করিতে থাকে। তাঁর স্ত্রী সুমি আক্তার (২২) মাঠ থেকে ঘাস কেটে এসে মেয়েকে শ্বশুর বাড়িতে নিতে গিয়ে দেখেন বিবাদী মেয়ের সাথে ওই অপকর্ম করছে। তখন সে চিৎকার শুরু করলে বিবাদী তথা তাঁর পিতা মেয়েকে ছাড়িয়া দিয়া দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় আমার স্ত্রীর চিৎকারে একই গ্রামের হারুন হোসেনের স্ত্রী ১। রাশেদা বেগম, ইনসের মুন্সির ছেলে ২। দুলাল হোসেন, তরিকুল ইসলামের ছেলে ৩। ইমরান হোসেন, গগণপুর গ্রামের বাবুর ছেলে ৪। ওয়াদুদ ইসলামসহ আরো লোকজন এগিয়ে এসে বিবাদী তথা আমার পিতাকে আটক করার চেষ্টা করলে সে কৌশলে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে পত্নীতলা থানা অফিসার ইনচার্জ শাহ মো. এনায়েতুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আটককৃত জহুরুল ইসলামকে রোববার কোর্টে পাঠানো হবে।