কালের সংবাদ ডেক্স ঃ সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইল থেকে দুটি উড়োজাহাজ ঢাকায় অবতরণ করায় ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
ইসরাইলের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ও বিমান চলাচল চুক্তি নাই।
বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ইসরাইল ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
জাতিসংঘভুক্ত যে ২৮টি দেশ ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়নি তারমধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।
গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানে হাজারো ফিলিস্তিনির মৃত্যুকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ চাওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার প্রশ্নে বাংলাদেশ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামেও সরব।
এই সময় ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিব থেকে আসা দুটি বিমান অবতরণ কিসের বার্তা দেয়?
এটি ইসরাইলের কোনো এয়ারলাইন্স নয়। ঢাকায় আসা উড়োজাহাজ দুটি ইসরাইল থেকে কোনো পণ্য বা যাত্রী পরিবহন করেনি। এর আগেও বাংলাদেশে ন্যাশনাল এয়ারলাইনের ফ্লাইট এসেছিল।
ইসরাইলের তেলআবিব থেকে যে ফ্লাইটটি এসেছিল, সেটি অপারেট করেছে ন্যাশনাল এয়ারলাইন্স। বোয়িং ৭৪৭-৪০০ মডেলের উড়োজাহাজ তেলআবিব থেকে প্রায় ৬ ঘণ্টায় উড়ে ঢাকায় আসে। বোয়িং ৭৪৭-৪০০ মডেলের উড়োজাহাজগুলো কার্গো এয়ারক্রাফট। প্রতিটি প্রায় ১০৮ গ্রস টন মালামাল বহন করতে পারে। দুটি উড়োজাহাজই যুক্তরাষ্ট্রের বিমান পরিবহন সংস্থা ন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের এবং সেখানেই নিবন্ধিত। ১৯৯১ সালে যাত্রা শুরু করা ন্যাশনাল এয়ারলাইন্স অন-ডিমান্ড কার্গো এবং চার্টার্ড যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট পরিচালনা করে।
বাংলাদেশের সঙ্গে ইসরাইলের কোনো এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্ট নেই, ফলে দেশটির কোনো এয়ারলাইনের ফ্লাইট বাংলাদেশে আসতে পারবে না।