শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টারঃ নওগাঁয় গত কয়েক দিনে তীব্র শীত ও হিমেল হাওয়ায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।প্রচন্ড শীতের কারণে শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলের নাজেহাল অবস্থা। এমতাবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় তীব্র শীত অপেক্ষা করে কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই শিশু শ্রেণি থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাচ্ছে। এতে করে তাদের বেড়ে যাচ্ছে ডায়েরিয়া সহ ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন রোগ। চলমান এ শৈত্য-প্রবাহের কারণে বুধবার থেকে নওগাঁর মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল-মাদ্রাসা) সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ লুৎফর রহমান।
তবে এ শীতের কারণে জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলেও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়নি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে লেখাপড়া করা হাজার হাজার কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা।
নওগাঁ জেলার বদলগাছী আবহাওয়া পর্যাবেক্ষনাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিন থেকে নওগাঁ জেলার উপর দিয়ে শৈত্য-প্রবাহ চলছে। এ কারণে এখানকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কোন দিন ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস আবার কোন দিন ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস আবার কোন দিন তারও কম হচ্ছে। এরমধ্যে গত কয়েক দিন ঘন কুয়াশার কারণে সূর্য না উঠায় তাপমাত্রা বাড়ছে না। এ কারণে শীতের তীব্রতা আরও কয়েকদিন থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
প্রাথমিক বিদ্যালয় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সানাউল হাবিব বলেন, ছুটির বিষয়ে এখনো আমাদের কোন সিধান্ত হয়নি। আগামীকাল হয়তো সিদ্ধান্ত হতে পারে। সিদ্ধান্ত আসলে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
নওগাঁ জেলা শিক্ষা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, গত কয়েক দিন থেকে নওগাঁয় চলছে শৈত্য-প্রবাহ। কখনো নওগাঁর তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস আবার কখনো কখনো তার নিচে নেমে আসতেছে। এ কারণে শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনায় চলমান এ শৈত্য-প্রবাহের কারণে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি ভেবে আঞ্চলিক উপপরিচালক (ডিডি) স্যারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তার মৌখিক নির্দেশনায় জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল স্কুল ও মাদ্রাসা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। এরপর জেলার তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথেই আবারও প্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশনা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।