“নওগাঁ জেলা পুলিশ কর্তৃক চাঞ্চল্যকর ‘নাজিম উদ্দিন ফকির” কুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন”

ফজলে রাব্বি হাসান, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি : ইং ১০/০৬/২০২৪ তারিখ রাত্রী অনুমান ১১.১০ ঘটিকা হতে রাত্রী ১১.৪০ ঘটিকার মধ্যে যেকোন সময় নওগাঁ সদর মডেল থানাধীন ১১নং শিকারপুর ইউনিয়নের বিলভবানীপুর গ্রামস্থ আমাদের নিজ বসত বাড়ীর দক্ষিন পাশে খলিয়ানে অজ্ঞাতনামা আসামী/আসামীরা পূর্ব-পরিকল্পিত ভাবে হাতুড়ি দ্বারা নাজিম উদ্দিন ফকির (৬০), পিতা-মৃত কছিম উদ্দিন ফকির, সাং-বিলভবানীপুর সরদারপাড়া, থানা ও জেলা-নওগাঁ এর মাথায় আঘাত করে ফাটা গুরুতর রক্তাক্ত জখম এবং ধারালো চাকু দ্বারা উপর্যপরি বুকের নিচে মাঝখানে, বুকের নিচে বাম পাশে, পেটের বাম পাশে, গেটের ডান পাশে ও ডান বাহুতে আঘাত করিয়া হত্যা করে পালিয়ে যায় উক্ত ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে নওগাঁ সদর মডেল থানার মামলা নং-২৮, তারিখ-১১/০৬/২০২৪ খ্রি., ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। উক্ত সংবাদ পেয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশের টিম ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিদর্শন করেন। নওগাঁ জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব মুহাম্মদ রাশিদুল হক, পিপিএম মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় নওগাঁ সদ্য থানা, নওগাঁর যৌথ চৌকস টিম তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন।

অত:পর জনাব গাজিউর রহমান পিপিএম অতরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ। পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতী প্রাপ্ত এর তত্ত্বাবধানে এবং জনাব ফৌজিয়া হাবিব খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল, নওগাঁ নেতৃত্বে আসামী ১। মোঃ সুজ্জাত (৩০), পিতা-মৃত আব্দুস সামাদ, সাং-বিলভবানীপুর, ইউপি-শিকারপুর, থানা ও জেলা-নওগাঁ ২। মোঃ মেহেদী হাসান (২৮), পিতা-মোঃ নজরুল ইসলাম, সাং-গাংগুরিয়া বাজার, থানা-পোরশা, জেলা-নওগাঁ বর্তমান সাং-রঘুনাথপুর (শশুর মোঃ রহিদুল ইসলাম, পিতা-মৃত বছির প্রাং), ইউপি-শিকারপুর, থানা ও জেলা-নওগাঁদ্বয়কে ইং ১১/০৬/২০২৪ তারিখ ১৫.২০ ঘটিকার সময় অভিযান পরিচালনা করে নওগাঁ সদর থানাধীন আরজি নওগাঁ এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। আসামী মোঃ সুজ্জাতকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানায়, শ্রী প্রদীপ কুমার, নওগাঁ সদর থানাধীন শুকুর আলীর মোড়ে সেলুনে নাপিতের কাজ করে। গত প্রায় ০১ বছর পূর্বে নাপিত শ্রী প্রদীপ কুমার এর সেলুনে চুল কাটার বিষয় নিয়ে আসামী মোঃ সুজ্জাত, প্রদীপকে মারধর করে। পরবর্তীতে গ্রাম্য শালিসে নাজিম উদ্দিন ফকিরসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করে এবং আসামী সুজ্জাতকে ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা জরিমানা করে। এতে আসামী মোঃ সুজ্জাত ক্ষিপ্ত হয়ে নাজিম উদ্দিন ফকিরকে বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি প্রদান করে এবং তার ক্ষতি করার সুযোগ খুজাতে থাকে। ঘটনার দিন সময়ে এজাহারে বর্ণিত ঘটনাস্থলে পূর্ব-পরিকল্পিত ভাবে ১নং আসামী মোঃ সুজ্জাত ও ২নং আসামী মোঃ মেহেদী হাসান ডিসিজড নাজিম উদ্দিন ফকিরকে হত্যার জন্য ওঁৎ পেতে থাকে ডিসিজড নাজিম উদ্দিন ফকির মোটরসাইকেল নিয়ে আসা মাত্রাই ২নং আসামী মোঃ মেহেদী হাসান হাতুড়ি দ্বারা মাথায় আঘাত করলে গুরুতর রক্তাক্ত জখম প্রাপ্ত হয়ে মাটিতে পড়ে যায়, তখন আসামী মোঃ সুজ্জাত ধারালো চাকু দ্বারা ডিসিজড নাজিম উদ্দিন ফকিরকে উপর্যপরি বুকের নিচে মাঝখানে, বুকের নিচে বাম পাশে, পেটের বাম পাশে, পেটের ডান পাশে ও ডান বাহুতে আঘাত করিয়া হত্যা করিয়াছে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ডিসিজড নাজিম উদ্দিন ফকিরকে হত্যা কাজে ব্যবহৃত চাকুটি রানীনগর থানাধীন মিরাট ইউনিয়নের আতাইকুলা বেতগাড়ী ব্রীজ (বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রীজ) এর নিচে পানি হতে এবং ঘটনাস্থল হতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বাট ভাঙ্গা অবস্থায় হাতুড়টি উদ্ধার করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.