নওগাঁ ৩-আসন সকল প্রার্থীর সামনেই জয়ের স্বপ্নের হাতছানি

এমদাদুল হক দুলু, বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আর মাত্র ৭ দিন বাঁকী। প্রার্থীরা বিরামহীন নির্বাচনী প্রচারনায় ছুটে চলেছে এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায়। সকল প্রার্থীর সামনেই যেন জয় নিশ্চিৎ। দুচোখে জয়ের স্বপ্ন নিয়েই প্রার্থীরা নিজ নিজ মার্কায় ভোট প্রার্থনা করছে। নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন, অফিস ভাংচুর, পোষ্টার ছেড়া, মারপিটের ঘটনা আছেই।

৪৮ নওগাঁ- ৩ (বদলগাছী-মহাদেবপুর) আসনে ৭ জন প্রার্থী নির্বাচণে অংশ গ্রহন করেন। বিএনপি এ নির্বাচনে না আসায় আওয়ামীলীগ থেকে ৪জন প্রার্থী নির্বাচনী প্রতিদ্ব›িদ্বতায় অংশ নেয়। এর মধ্যে সাবেক সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী নৗকা মার্কা, নৌকা না পেয়ে একই দলের স্বতন্ত্র থেকে সাবেক সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার ট্রাক মার্কা, মাহফুজা আকরাম চৌধুরী মায়া ঈগল মার্কা, ডি এম মাহবুব উল মান্নাফ শুভ কাঁচি মার্কা নিয়ে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি মাসুদ রানা লাঙ্গল মার্কা, কমেডি অভিনেতা শামিনুর রহমান চিকন আলী কেটলি মার্কা, তৃনমূল বিএনপি সোহেল কবির চৌধুরী সোনালী আঁশ মার্কা। এলাকা ঘুরে, নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ও তৃনমূল বিএনপির প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনায় তেমন কোন ভুমিকা লক্ষ্য করা যায়নি।
শতভাগ জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে নৌকার মাঝি সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী বলেন নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। ভোট সুষ্ঠ হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বদলগাছী মহাদেবপুরের জনগনের খেদমতে আমাকে নৌকা দিয়েছেন। আমি দিনরাত পরিশ্রম করছি, জনগনের ভালো সারা পাচ্ছি। জনগন স্বতস্ফ‚র্তভাবে ভোট কেন্দ্রে আসবেন এবং ভোট দিবেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদার জানান গায়ে পড়ে সব ঝগড়া করছে। ধাপে ধাপে আমার নেতাকর্মিদের প্রচারণায় বাঁধা দিচ্ছে, রাস্তাঘাটে ধরে মারপিট করছে।

শুক্রবার রাতে এশার নামাজ পর মহাদেবপুর সাগরইল গ্রামে আমার দুই কর্মিকে মারপিট করেছে, আহত কর্মি বরকত উল্লাহ ও রফিকুল ইসলাম হাসপাতালে ভর্তি। বদলগাছীর বারাতৈল মোড়ে আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। সুষ্ট ভোট নিয়ে আমার কোনশঙ্কা নেই তবে নৌকার প্রার্থীর নেতা কর্মিরা বলছে এক ভোট পেলেও নাকি তাঁরা পাস। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনারসহ স্থানীয় প্রশাসনকে চোখ কান খোলা রাখতে হবে। এলাকার অনেক উন্নয়ন করেছি, মানুষকে ভালো বেসেছি। কোন দিন কারো সঙ্গে দুর্ব্যবহার করিনি। এলাকার লোকজন আবারও আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহফুজা আকরাম চৌধুরী মায়ার পক্ষ্যে তার কর্মি সোহরাব হোসেন বলেন নৌকার কর্মিরা আমাদের প্রচারণায় বাঁধার সৃষ্টি করছে। তাঁরা অপপ্রচার চালাচ্ছে এক ভোট পেলেও নাকি নৌকা পাস। উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুল আলম স্বতন্ত্র প্রার্থীদের হুমকী দিচ্ছে যাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বা তাদের কর্মিরা কোথাও কারো কাছে ভোট চাইতে না পারে। এ অবস্থায় আমরা নানা শঙ্কার মধ্যে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.