বগুড়া সাতমাথায় সপ্তপদী মার্কেটের ফলের দোকানগুলোতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড

বগুড়া জেলা প্রতিনিধি, সিফাত আল বখতিয়ার : বগুড়া সাতমাথা সপ্তপদী মার্কেট বিআরটিসি মার্কেটের পাশে ফলের দোকানগুলোতে রাত ১ চার দিকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে ফল পট্টির সব দোকানগুলো পুড়ে যায় এবং সাথে কিছু মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকানগুলো আগুনে পুড়ে যায়।

অগ্নিকাণ্ড ঘটার সাথে সাথেই সাতমাথার বেশ কিছু ডে-নাইট দোকান ব্যবসায়িক রা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে এবং ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দিলে তৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট এসে ২০ মিনিটের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণ করে তবে কোন দোকান আর আস্ত ছিল না। প্রায় ১০ টি ফলের দোকান পুড়ে যায়।

তবে কোথা থেকে আগুন ধরেছে এখনো কোনো সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।কেউ বলছে শর্ট সার্কিট থেকে আবার কেউ বলছে শত্রুতা করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।

এক ব্যবসায়ী জানান, রাত হলেই মাদক সেবনকারীরা মার্কেটের এই দোকানগুলোর সামনে মাদক সেবন করতো। রাত হলেই মাদকের আড্ডা বসতো।

আরেক ব্যবসায়িক জানান, আমরা দীর্ঘদিন ৪০ বছর ধরে এই সপ্তপদী মার্কেটের সামনে ফলের ব্যবসা করে আসছি ।আমাদের সাথে শত্রুতা করে পেট্রল দিয়ে আগুন ধরে দিয়েছে। তিনি সন্দেহ করছেন আশেপাশে কে বা কারা তারাই আগুন ধরে দিয়েছে। তাদের নাম জানিনা তারা আশেপাশেরই হবে তাদেরকে মুখে চিনি। তিনি সন্দেহ করছেন তারাই এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তারা দোকানগুলো উচ্ছেদ করে দেওয়ার চেষ্টা বহুদিন ধরে করে আসছিল তবে তাতে ব্যর্থ হলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে ধারণা করছেন। আমাদের দোকানগুলোতে ১০-১২ লক্ষ টাকার মালামাল ও নগদ অর্থ ছিল এখন নেওয়ার মতো কিছু নেই।

বগুড়া ফায়ার স্টেশনের সহকারী পরিচালক মনজিলুর রহমান জানান, আমরা রাত ১টা ১০ মিনিটে সংবাদ পাই সপ্তপদী মার্কেটের ফলের দোকানগুলোতে আগুন লেগেছে এবং আমরা সাথে সাথে তিনটি ইউনিট এসে ২০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণ করি এবং মার্কেটে পাশের দেয়ালগুলোতেও পানি দেওয়া হয়েছে যাতে করে কোন ধরনের আগুনের শিখা পাশের মার্কেটে না ছড়ায়। আগুন গুলো ৫-৬ টি দোকানে সীমাবদ্ধ ছিল।

তিনি জানান আগুনটি শর্ট-সার্কিট থেকে হয়তো লেগেছে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও ধারণা করা যাচ্ছে না যেহেতু রমজান মাসে প্রায় প্রতিটি দোকানে ফল এবং খেজুর মজুদ ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published.