বদলগাছীতে সরিষার হলুদ ফুলে মাঠ সেজেছে নববধু রূপে মৌমাছি ছুটছে এগাছ থেকে ওগাছে

এমদাদুল হক দুলু, বদলগাছী (নওগা) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর বদলগাছীতে সরিষার হলুদ ফুলে প্রকৃতি ও মাঠ যেন সেজেছে নববধু রূপে।ফুলের ঘ্রানে মৌমাছি মধু আহরণে ছুটছে এগাছ থেকে ওগাছে। চলতি মৌসুমে উপজেলার সব এলাকাতেই সরিষার চাষ করেছে কৃষক। এর মধ্যে মথুরাপুর ইউপির গোবরচাপা এলাকা ও কাষ্টগাড়ী বিলে সরিষার চাষাবাদ যেন চোখে পড়ার মত। এ উপজেলায় বিনা সরিষা-৪ ও ৯, বারি সরিষা ১৪, ১৫, ১৭ ও ১৮ জাতের সরিষা চাষাবাদ হয়েছে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়। ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণে সরিষা চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বল্প খরচে সরিষা চাষ করা যায়। এতে আর্থিক ভাবেও লাভবান হচ্ছে কৃষক। কৃষক আবজাল মিয়া জানান ২ বিঘা সরিষা চাষ করেছি, আশা করি ভালো ফলন পাবো। সরিষার ক্ষেতে চোখ পড়লে মনে হয় যেন পুরো মাঠ হলুদ বর্ণে নববধু রূপে সাজিয়েছে। মাঠে মাঠে সরিষার হলুদ ফুলের সমারোহে নজরকারে পথচারীদের। সরিষা ক্ষেত দেখলেই বিনোদন প্রেমি নারী পুরুষ ছবি তুলতে নেমে পড়ে ক্ষেতে। মাঠ ঘুরে দেখা যায় উপজেলার সব এলাকাতেই কমবেশী সরিষা চাষাবাদ করা হয়েছে। কোন কোন জমিতে সরিষার গাছে ফুল ফুটতে শুরু করেছে আবার কোন জমিতে পুরো ফুল ফুটেছে, সরিষার ফল ধরেছে। আগাম সরিষা ক্ষেতের ফুল ঝড়ে পড়েছে। ফলের ভিতর সরিষা দানা গঠন হয়েছে। চাষিরা ও যেন দুচোখে দেখছে শুধুই শর্ষ্যে ফুল তবে সেটা বিপদের নয় আনন্দে। কারণ হিসাবে অনেক কৃষক জানায় আকাশের বৃষ্টি হলে সরিষা চাষাবাদ ব্যাহত হয়। চলতি মৌসুমে শুরু থেকেই আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকুল থাকায় সরিষার ক্ষেত ভালো হয়েছে। কৃষকরা বাম্পার ফলনের আশাবাদী। কৃষি বিভাগের সূত্রমতে, সরিষা ফুলে যদি মৌমাছি না বসে তাহলে ফলন ব্যাহত হবে এবং দানা মরা হবে। ফুলে যত বেশী মৌমাছি বসবে তত পরাগায়ন হবে। সরিষার ফলন ভালো হবে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৮ ইউনিয়নে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৩শ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে সরিষা চাষ হয়েছে ৩হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবাব ফারহান জানান, স্বল্প খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে সরিষা চাষের আগ্রহ বাড়ছে। আমরা তেল জাতীয় ফসলের আবাদ সম্প্রসারণের জন্য সরিষা চাষকে গুরুত্ব দিচ্ছি। এতে করে দেশে তেল আমদানী নির্ভরতা কমে যাবে। ফলে তেল আমদানীর ক্ষেত্রে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবে। এছাড়া সরিষা ফুল থেকে মধু উৎপাদনের জন্য উপজেলার ৫ জন কৃষকের মাঝে মৌবাক্স সরবরাহ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.