বরেন্দ্রঞ্চলে আগাম শিমের ভালো ফলন চড়া দাম পেয়ে চাষীদের মুখে হাসি

মোহাম্মদ আককাস আলী, প্রতিনিধি মহাদেবপুর : বরেন্দ্রঞ্চলে শীতকালীন সবজি শিমের ভালো ফলন এবং চড়া দাম পেয়ে চাষীদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
তবে আগাম এ শিম পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচাতে চাষিদের লাভের একটা অংশ চলে যাচ্ছে কীটনাশকে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানাযায়, আগাম এ শিমে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কৃষি অফিস থেকে কোনো পরামর্শ না পেয়ে চাষিরা ইচ্ছামত কীটনাশক ব্যবহার করছেন। এতে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে চাষিদের। তবে এতেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষিরা।
অনেক কৃষক শিমকে পোকার হাত থেকে রক্ষা করতে আগে থেকেই কীটনাশক স্প্রে করছেন। কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা পেলে আগামীতে শিমের আবাদ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন চাষিরা। কৃষকরা প্রতি বছর নিজেরা শিম চাষের জন্য বীজ সংরক্ষণ করে রাখেন। সংরক্ষণ করা বীজ আগাম শিম চাষে ব্যবহার করেন। আগাম শিম চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা প্রতি বছরই এটা করে থাকেন।
শীতকালীন আগাম শিম ফলনে কম হলেও বাজারে ভালো দাম পাওয়া যায়। প্রতি কেজি শিম পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৮০ টাকা কেজি দরে। প্রথমে ফলন একটু কম হলেও, পরবর্তীতে ফলন বেশি হয়। যখন ফলন বেশি হয় তখন আর আগের মতো দামও পাওয়া যায় না। শিম চাষী আবু রাইহান,পাঞ্জু সরদার,মাসুদ রানা জানান, তারা প্রতি বছর আগাম জাতির শিম চাষ করেন। তাদের অভিযোগ, বাজারে নামিদামি বিভিন্ন ব্যান্ডের ওষুধ কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে তারা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। কৃষি অধিদপ্তরের নজরদারি না থাকায় ওইসব কোম্পানিগুলো আমাদের মত চাষীদের প্রতারিত করছে।
কৃষি অধিদপ্তর চাষীদের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে কৃষকদের কীটনাশকের দোকানে না গিয়ে সরাসরি কৃষি অফিসে অথবা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার মুঠোফোনে কল দিয়ে পরামর্শ নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আবু হোসেন জানান,‘চলতি মৌসুমে জেলার ৮ হাজার হেক্টর জমিতে নানা জাতের সবজির চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ১২০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের শিমের চাষ হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.