বাঙালী জতির সব থেকে অসন্মান এবং কলংকর দিন হচ্ছে ১৫ আগষ্ট- আশরাফুল আলম লিটন

মোঃ আনিছুর রহমান বেনাপোল প্রতিনিধিঃ যশোর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌরসভার সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেছেন,জাতির জনক একটি দেশের মানুষের জন্য,  জাতির সন্মানের জন্য, জাতির মুক্তির জন্য স্বাধীনতার জন্য ৪৬৮২ দিন জেল খেটেছেন।

সেই মানুষকে এই বাংলার মাটিতে অবাধ্য পৈশাচিক, নিষ্ঠুর, নির্দয় একটি গোষ্টি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। এই জন্য বাঙালী জতির সব থেকে অসন্মান এবং কলংকর দিন হচ্ছে ১৫ আগষ্ট। জাতি ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত এদেশের বিপথ গামি সেনাবাহিনির  একটি  চক্র জাতির জনককে নির্মম ভাবে স্বপরিবারে হত্যা করেছিল। এ হত্যার মধ্যে একটি দেশের যে উচ্চতা যে বীরত্ব গাথা বিশ্বব্যাপি যে বাঙ্গালীর যে এই ভুমির যে সন্মান মর্যদা তারা একটি মানুষ কিংবা একটি পরিবারকে হত্যা করে আমাদের ভুলুন্ঠিত করে দিয়ে গেছে। বাহাদুরপুর ইউনিয়ন এর বোয়ালিয়া বাজারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ১৫ আগষ্ট শোক দিবস ও ৪৮ তম সাহাদত বার্ষিকিতে প্রধান অতিথি আশরাফুল আলম লিটন এসব কথা বলেন।

বুধবার বিকাল ৫ টার সময় বেনাপোল পোর্ট থানার বাহাদুরপুর ইউনিয়ন ্ আওয়ামীলীগ আয়োজিত বোয়ালিয়া বাজারে  ১৫ আগষ্ট শোক দিবস ও বঙ্গন্ধুর ৪৮ তম সাহাদত বার্ষিকিতে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল ওহাব। প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন আশরাফুল আলম লিটন।

প্রধান অতিথি আশরাফুল আলম লিটন বলেন, যারা এই হত্যাকান্ডকে সংগঠিত করার জন্য অর্থ দিয়েছে সমর্থন করেছে পরিকল্পনা করেছে আমরা আর যাই হোক  তাদেরকে কখনো ক্ষমা করতে পারি না। কারন একজন মানুষ এই বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য, স্বাধীনতার জন্য, পবিত্র ভুমির জন্য, একটি লাল সবুজের পতাকার জন্য, নির্যতিত নিপিড়িত বাঙালীর অধিকার আদায়ের জন্য,শিক্ষিত বেকার যুবকরা তাদের কর্মসংস্থান পাবে এবং ন্যায্য হিস্যা পাবার জন্যে পাকিস্তানীদের সাথে বিরোধ এবং  আমাদের যুদ্ধ অসম্ভাবি হয়ে উঠছিল। কারন আমাদের অর্থ দিয়ে তারা ইমারত আমাদের অর্থ দিয়ে তারা আমাদের  কৃষকদের সম্পদ আমাদের শ্রমিক এর কষ্টার্জিত সম্পদ নিয়ে তারা পশ্চিম পাকিস্তান পুনর্গঠন করছে কিন্তু আমার বাংলার সন্তানরা কাজ পাচ্ছে না, শিক্ষিত যুবকরা চাকরি পাচ্ছে না প্রত্যেকটি জায়গায় বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষকে সজাগ করেছিলেন। সেই সময়ের বাংলাদেশের রাজনিতীবিদরা রাজনীতি করেছেন কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মত কেউ হতে পারে নাই। কারন বঙ্গবন্ধুর মানুষের জন্য ছিল অসাধারন ভালবাসা। সেই সময়ের পাকিস্তানিরা যখন এক এক করে এই উর্বর ভুমির সম্পদ নিয়ে চলে যাচ্ছে। আর আমাদের শিক্ষিত যুবকরা চাকরি না পেয়ে হাহাকার  করছিল। তখন বঙ্গবন্ধু আর বসে থাকতে পারেনি। তিনি দেশকে স্বাধীন করতে  এদেশের মানুষকে উদ্ভুদ্ধ করলেন। এবং মাত্র ৯ সাস যুদ্ধ করে এদেশকে একটি স্বাধীন সার্বোভৌম  রাষ্ট্রে পরিনত করলেন।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে  উপস্থিত ছিলেন, শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক আজিবর রহমান, প্রচার সম্পাদক ইলিয়াছ আযম, বেনাপোল পৌর আওয়ামী নেতা মোজাফফার হোসেন, সাবেক বেনাপোল পৌর সভার প্যানেল মেয়র সাহাবুদ্দিন মন্টু, কাউন্সিলর মিজানুর রহমান, বাহাদুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শফিকুর রহমান আওয়ামী নেতা সাহেব আলী, শার্শা আওয়য়ামী যুবলীগ নেতা সাহেব আলী, যুবলীগ নেতা হাফিজুর রহমান,  প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন যশোর জেলা আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের কর্যকরি সদস্য জাকির হোসেন আলম।

Leave a Reply

Your email address will not be published.