বান্দরবানের রুমা সদর থানা পাড়ায় দুধর্ষ চুরির ঘটনা

শৈহ্লাচিং মার্মা, বান্দরবান, রুমা প্রতিনিধি :বান্দরবানের রুমা সদর থানা পাড়ায় দুধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারী) গভীর রাতে একটি চোরের সংঘবদ্ধ দল থানা পাড়া কয়েকটি দোকানে হানা দিয়ে দরজা-জানালা ভাঙ্গিয়ে প্রবেশ করে এ চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। এসময় চোরের সংঘবদ্ধ দল দোকান থেকে বিক্রিযোগ্য খাদ্য সামগ্রি মালামাল ও নগদ টাকাসহ অন্যান্য জিনিস পত্র নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয়রা জানায়,এলাকার চেনা- জানা এই সংঘবদ্ধ চোরের দলের সদস্য তিনজন। মাঝে মধ্যে অন্য জায়গা থেকে এসে তাদের সঙ্গে গাজা- মাদক পানে পাঁচ-ছয়জনও হয়ে যায়। তবে ভয়ে তাদের নাম নিতে সাহস পাচ্ছে না।
থানাপাড়া প্রধান অংচিংপ্রু কারবারী বলেন এধরণের চুরির ঘটনা এলাকার জন্য ভাল নয়। দুইদিন পর পাড়ায় ফিরে আসার কথা উল্লখ করে বলেন ঘটনাটি পাড়ার সবার সাথে বসে আলাপের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

ক্ষতিগ্রস্থ দোকানদার মংক্যওয়াং মারমা(৩৫) বলেন দরজারতালা ভেঙ্গে তাঁর দোকানে প্রবেশ করে নানা ব্রান্ডের বেশ কয়েকটি সিগারেট কাটন নিয়ে গেছে। এঘটনার দুইমাস আগে তাঁর দোকানের তালা ভেঙ্গে নগদ অর্থ ও সিগারেট নিয়ে যায় এবং পরদিন রাতে ৩০ ওয়ার্টের সোলার ব্যাটারীও নিয়ে গিয়েছিল ওই এলাকার স্থানীয় চোরের সংঘবদ্ধ এই দলটি। বলেন, মংক্যওয়াং।

লক্ষী রুং ত্রিপুরা (২৮) বলেন দুইটি সন্তান নিয়ে সন্ধ্যায় দোকানটি তালা মেরে বাসায় চলে যান। সকালে দোকানে গেলে জানালা ভাঙ্গা পাওয়া যায়। দোকান থেকে নানা ব্রান্ডের চাঁর-পাঁচ কাটন নিয়ে সিগারেট নিয়ে গেছে। এভাবে চুরির ঘটনা দোকান নিয়ে তাঁকে চিন্তিত করে তুলেছে। বলেন, লক্ষীরুং ত্রিপুরা। তিনি বলেন থানা পুলিশ দোকানে এসে খোঁজ নিয়ে চলে গেছেন।

মোহাম্মদ নূর আলম(৪০) বলেন বৃহস্পতিবার সারাদিন দোকানের বেচা- কেনা করার পর সন্ধ্যায় বাড়িতে চলে আসেন তিনি। পরদিন শুক্রবার (২ জানুয়ারী) সকালে গিয়ে দেখতে পান, দরজা-জানালা তালা ভাঙ্গা। তবে ভেতরের থেকে লাগানে তালা ভাঙ্গতে পারেনি সংঘবদ্ধ চোরের দল।

অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়- চুরির করার সময় বেশ কয়েকজন ছিল। তাঁর দোকান প্রধান সড়ক পাশে অবস্থিত।
সম্ভবত; গভীর রাতে চুরি করার সময় সড়কের দুইদিক থেকে পাহাড়া দিয়ে রেখে দোকানের তালা ভাঙ্গতে চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু আমার দোকান থেকে কোনো মালামাল নিয়ে যেতে না পারলেও পাশের আরেক দোকানের তালা ভেঙ্গে বিক্রিযোগ্য জিনিস পত্র ও নগদ টাকা নিয়ে গেছে। বিষযটি থানা পুলিশকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি।

রুমা থানা এসআই মোহাম্মদ মিদন মিয়া বলেন থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। ঘটনার খোঁজ নেয়া হয়েছে। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে শনিবার থানাপাড়াবাসী নিয়ে জনসচেতনতামূলক আলোচনা সভা আয়োজন করবেন বলেন জানিয়েছেন এসআই মিদন মিয়া।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.