সিরাজুল ইসলাম আপন, ভাঙ্গুড়া (পাবনা): ছয় মাস সংস্কার কাজের মেয়াদ থাকলেও দু’বছরে বুঝে দেওয়া হয়নি পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা ডাকঘর ভবন। ভবন কাজে কালক্ষেপণ ও দীর্ঘদিন ভাড়া বাসায় অফিসের কাজ করায় এখান থেকে সরকারের মোটা অংকের রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে।
জানাগেছে, ডাক বিভাগের অধীনস্ত জরাজীর্ণ ভাঙ্গুড়া উপজেলা ডাকঘরটি সংস্কারের জন্য গত ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে মাসে পাঁচ হাজার টাকায় দু’কক্ষের একটি অফিস ভাড়া নেওয়া হয়। গত ২০২২ সালের ফেব্রæয়ারি মাসে ঠিকাদার সংস্কার কাজ শুরু করেন। ডাক অধিদপ্তর এই কাজের সময়সীমা ৬ মাস নির্ধারণ করে দেয় কিন্তু ঠিকাদার একটি লভ্যাংশে কাজটি বিক্রি করে দেন খ.আবু জাফর মু.হাবীবুল্লাহ নামের এক সাব-ঠিকাদারের কাছে। এভাবে নানা অনিয়মে প্রায় দু’বছর অতিবাহিত হলেও সংশ্লিষ্ট ডাকঘরের নিজস্ব ভবনে আজও কাজ শুরু করা যায়নি। ডাকঘর সংস্কার এরিয়ায় টানানো সাইনবোর্ডে প্রকৃত ঠিকাদার আতাউর রহমান খান লি: উল্লেখ থাকলেও তিনি নিজে কাজ না করে চাটমোহরের এস.এ এন্টারপ্রাইজের কাছে ওয়ার্ক অর্ডার বিক্রি করে দেন। এস.এ এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী সাব-ঠিকাদার খ.আবু জাফর মু.হাবীবুল্লাহ এক বছর দশ মাস ধরে সংস্কার কাজ করছেন। ফলে বিভাগটি অফিস ভাড়া বাবদ মোটা টাকার রাজস্ব ক্ষতির শিকার হচ্ছে। এখানকার অধিবাসীরাও ভাড়া বাসার ছোট্ট অফিসে পোস্টাল সেবা পেতে নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক আনজির আহম্মদের কাছে ফোনে জানতে চাইলে তিনি জুম মিটিং এ ব্যস্ত আছেন বলে ফোন রেখে দেন।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা পোস্ট মাস্টার নাহিদা সুলতানা জানান, পোস্ট অফিস বিল্ডিং রেডি না হওয়া পর্যন্ত ৫ হাজার টাকার ভাড়া ঘরে কাজ করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে সাব-ঠিকাদার খ.আবু জাফর মু.হাবীবুল্লাহ বলেন, সংস্কার কাজ শেষ তবে অফিসের কক্ষগুলোতে ফ্যান লাগানো ও প্রতিবন্ধীদের সিড়ি নির্মাণ হলেই ভবন বুঝে দেওয়া হবে।