ভাঙ্গুড়ায় সরকারি জায়গা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ

সিরাজুল ইসলাম আপন, ভাঙ্গুড়া (পাবনা): পাবনার ভাঙ্গুড়ায় গুমাণি নদ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জায়গা দখল করে অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে আসাদুল ইসলাম (৩৫) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের রূপসি পূর্বপাড়া গ্রামের মো. আছান মোল্লার ছেলে। দখলকারী রাজনৈতিক মহলের ছত্রছায়ায় ও স্থানীয় ইউপি সদস্যের যোগসাজশে এ কর্মকাÐ চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের রূপসি বাজার এলাকায় গুমাণি নদ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জায়গা দখল করে অবৈধভাবে আরসিসি পিলারের মাধ্যমে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে আসাদুল ইসলাম। সেখানে কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে চলছে ঢালাইয়ের কাজ। পাশেই কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছেন একই গ্রামের মিন্টু আহমেদ ও ভাঙ্গাজোলা গ্রামের মজনু প্রামানিকসহ আরো অনেকে। সড়কের কোল ঘেঁষে গড়ে তোলা হয়েছে মার্কেট, বসতভিটা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ নানা প্রতিষ্ঠান।

জানা যায়, রূপসি বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে গুমাণি নদ ও পাউবোর অবদাবাধ। একসময় এই নদকে ঘিরেই এখানকার বাণিজ্যিক কর্মকাÐ পরিচালিত হতো। কিন্তু ক্রমেই নদের নাব্য সংকট, প্রভাবশালী দখলদারদের অবৈধ দখলের কারণে প্রশ্বস্থতা কমে নদটি হারিয়ে ফেলেছে তার গতিপথ ও সৌন্দর্য। নদী ও পরিবেশ রক্ষায় আইন রয়েছে। আইন অনুযায়ী কেউ নদী দখল করলে এক থেকে ৭ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। আর কেউ নদীর প্রবাহ বন্ধ করলে অন্য আইনেও শাস্তির বিধান রয়েছে।

দখলকারী আসাদুল ইসলাম বলেন, আশেপাশের অনেকেই আরসিসি করে পাকা ঘর করেছে। তাই আমিও মনি মেম্বারের সাথে কথা বলেই ঘর করছি। তবে ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম মনির মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরাফাত হোসেন বলেন, সরকারি সম্পত্তি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের কোনো সুযোগ নেই। খোঁজ নিযে খুব দ্রæত দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.