ভাস্কর্যপ্রবণ ভূমির দিগন্তে ছিল শিল্পী নভেরার পূর্বপুরুষের আবাস

কালরে সংবাদ ডস্কেঃ নভরোর র্পূবপুরুষ এসছেলি চট্টগ্রাম থকে, যে প্রদশেকে আমরা উত্তাল সমুদ্র জলরাশরি গাঙ্গয়ে বদ্বীপময় কোমল পলমিাটরি দশে জান।,েযখোনে পাহাড় আর শলৈ অরণ্য হাওয়ার বন্যিাসে সমুদ্র স্রোততাড়তি মানুষরে জীবন-জনপদ খানকি র্ককশ হয়ে ওঠ,ে নভরোর জবৈকি উত্তরাধকিাররে মধ্যে ছলি র্পবত-সমুদ্রবাহতি ঝড়ো-বক্ষিুব্ধ ভূমরি গঠনসৌষ্ঠব। মনে করা যতেে পার,ে নভরো পরর্বতী জীবনে যে পশো বছেে নয়িছেলিনে তার প্রস্ফুটনরে বীজ প্রোথতি ছলি এই ভৌগোলকি বন্যিাসরে প্রবাহ,ে যা ছলি খানকি প্রতকিূল ও নবোদ্গত। বদ্বীপ রচতি হওয়ার কালে যখোনে উপসাগর সরে গয়িে নরম পলরি স্তর,ে অতল খাদরে প্রতবিম্বি,ে অখণ্ড নম্য গড়নরে অবয়ব ফুটে থাক,ে এমন একটি ভার্স্কযপ্রবণ ভূমরি দগিন্তে ছলি নভরোর র্পূবপুরুষরে আবাস। সখোনে সমুদ্ররে ঝঞ্ঝা-বক্ষিুব্ধ প্রাকৃতকি অনশ্চিয়তার অসীম দকিমণ্ডল নভরোর মনন গঠনে ভূমকিা রখেে থাকব।ে কারণ শল্পিী নভরো তার সময়ে একজন আপসহীন, অনমনীয়, দৃঢ়, স্বাধীন জীবন এবং অনন্য একটি পশো বছেে নয়িছেলিনে। জানা যায়, এক মুসলমি পরবিারে ১৯৩০এর দশকে নভরোর জন্ম। বাবা সয়ৈদ আহমদে ছলিনে পুলশি র্কমর্কতা। বাবার কাজরে সূত্রে নভরো কলকাতার কনভন্টেে লরটেোতে পড়ছেনে। কছিুদনি কুমল্লিায় ও চট্টগ্রামে কটেছেে নভরোর কশৈোরকাল।
শল্পিী নভরো লন্ডনে গয়িছেলিনে বোনরে কাছ,ে ভাস্কর হওয়ার নশ্চিতি পরকিল্পনা ছলি না তখনো। কারণ শল্পিকলা বষিয়ে কোনো প্রাতষ্ঠিানকি শক্ষিা ছলি না তার। এ বষিয়ে অবচতেন প্রণোদনা জগেে থাকতে পারে মায়রে কারণ।ে জনশ্রুতি আছ,ে ছোটবলোয় মাকে তনিি মাটি দয়িে পুতুল, পাখি ইত্যাদি নানা রকম র্ফম তরৈি করতে দখেছেলিনে। ১৯৫১ সালে নভরো ক্যাম্বারওয়লে স্কুল অব র্আটসরে মডলেংি ও স্কাল্পচার বভিাগে র্ভতি হন। আমরা ধরে নতিে পার,ি ষাটরে দশকে পাশ্চাত্যে শল্পিরে আন্দোলনরে মধ্যে আধুনকিতার বাঁক পরর্বিতনরে ঝোঁকটকিে নভরো গভীরভাবে প্রত্যক্ষ করতে পরেছেলিনে তখন। জানা যায়, ছাত্রজীবনে নভরো বভিন্নি শল্পিীর স্টুডওিতে গয়িে কাজ দখো ও শখোর সুযোগ পয়েছেলিনে।

১৯৫৬ সালে শক্ষিা শষেে তনিি ফরিে এসছেলিনে ঢাকায়। অবভিক্ত বাংলাদশে তখন পাকস্তিানরে উপনবিশে। ঢাকা এক নরিাভরণ শল্পিহীন মফস্বল। একদকিে সাতচল্লশিরে দশেভাগরে দাঙ্গার বস্রিস্ত জনপদ, অন্যদকিে পরাধীন জাতরি নজি ভাষার জন্য তীব্র রৌদ্রদগ্ধ সংগ্রামী চতেনার দাবানল। বাঙালি জাতি তখন নজিরে অধকিার আর পরচিয় অনুসন্ধানে যুদ্ধরত। অবভিক্ত প্রদশে তখন পাকস্তিান, অমৃতসর, লাহোর, ঢাকা সাম্প্রদায়কি সংঘাতে র্দীণ, দশে হারানো উদ্বাস্তু মানুষরে বপিন্ন সংকটকাল। শল্পিী জয়নুল আবদেনি কলকাতার শক্ষিা সমাপ্ত করে ফরিে এলনে ১৯৪৮ সাল।ে ঢাকায় শল্পিবদ্যিালয় স্থাপন করনে। যদওি সখোনে নারী শক্ষর্িাথী র্ভতি শুরু হন ১৯৫৪ ৫৫ শক্ষিার্বষ।ে আর র্পূণাঙ্গ র্আট কলজেে রূপান্তরতি হওয়ার পরে ভার্স্কয বষিয়ে পাঠদান শুরু হয় ১৯৬৪ সাল।ে বাংলাদশেে চারুকলার ইতহিাসরে সঙ্গে ভার্স্কযর্চচার ইতহিাসরে যনে কোনো সর্ম্পক নইে। এ দশেে আধুনকি ভার্স্কযরে সৃজনশীল পথ রচতি হলো যার হাতে তনিি প্রতষ্ঠিানরে বাইরে থাকলনে সারা জীবন। পশ্চমিা আধুনকি ভার্স্কযশক্ষিা এ দশে কোনো কাজে লাগাতে পারল না। শল্পিী নভরো পশ্চমিা দশে থকেে শক্ষিা শষে করে এসে কয়কেটি উল্লখেযোগ্য ভার্স্কয নর্মিাণ করনে এখান।ে তার কাজরে মধ্যে দশেজ আঙ্গকিে বাঙালরি মানসলোকরে অনুষঙ্গে আত্মপ্রত্যয়ী র্দাশনকি কৃষক পরবিার, মানুষ, গরু ইত্যাদি বষিয়ে বাংলার র্বগাদার-মহাজন-প্রজার শ্রমবণ্টন, শোষণরে রূপক র্ফমরে ইঙ্গতি পাওয়া যায়। শল্পিে তার রাজনতৈকি উদ্বগে যৌবনরে শষে অবধি ছলি। শল্পি ইতহিাসরে দৃষ্টতিে নভরো আহমদেরে ভার্স্কয অনুধাবন করতে একদকিে এই শহররে তৎকালীন সামাজকি ইতহিাসরে প্রক্ষোপট বুঝতে হয়, অন্যদকিে বশ্বিশল্পিরে (বশিষেত ইউরোপ ও রুশ শল্পিরে) উন্মোচতি গ্রন্থগিুলোকে চনিতে হয়। সখোনে যারা শল্পিরে প্রণোদনা জাগয়িছেলিনে তার মধ্যে র্দাশনকি র্কাল র্মাক্স, র্জজ লুকাচ, মশিলে ফুকো, আরভাতব, নন্দনতাত্ত্বকি অ্যাডোরনো উল্লখেযোগ্য ছলিনে। যারা মানুষরে শ্রমজীবকিা, শল্পি, র্দশন, রাজনীত,ি সমাজ আর ব্যক্তমিানুষরে ভবতিব্য নয়িে বাস্তব সব নরিীক্ষার প্রণতো। পশ্চমিা শল্পিশক্ষিায় আলোকতি নভরো দ্রুতই সসেব র্দশনরে মধ্যে নজিরে জীবনার্দশরে অনুষঙ্গ খুঁজতে শুরু করনে।
ঢাকায় ফরিে নভরো আহমদে নানাবধি সংকটরে মধ্যে কাজ করছেলিনে। তার মধ্যে ভার্স্কয উপাদানরে দুষ্প্রাপ্যতা, রাজনতৈকি প্রতকিূল পরবিশে, প্রযুক্তরি দন্যৈ ছাড়াও ছলি একজন নারী শল্পিীর কাজরে বরিুদ্ধ পরবিশে। একদকিে শল্পির্চচা ছলি র্ধমীয় অনুশাসনবরিোধী, অন্যদকিে শক্ষিার আলোবঞ্চতি কুসংস্কারাচ্ছন্ন মুসলমি সমাজ। এর মধ্যইে নবনর্মিতি পাবলকি লাইব্ররেি চত্বরে (র্বতমানরে ঢাকা বশ্বিবদ্যিালয় লাইব্ররে)ি হামদিুর রহমান ও নভরো আহমদে একটি কমশিনরে কাজ করনে। নভরো প্রবশেপথরে দয়োলরে ওপরে র্অধকেটাজুড়ে একটা লো রলিফিরে ম্যুরাল কাজ করনে। সাতান্ন সালে সখোনে তাদরে একটি যৌথ প্রর্দশনী হয়। কছিুদনি পরে তারা শহীদ মনিাররে কাজ শুরু করনে। চত্রিশল্পিী আমনিুল ইসলাম ও সয়ৈদ জাহাঙ্গীর ছলিনে হামদিুর রাহমানরে বন্ধু। নভরোর সঙ্গে তাদরে বন্ধুত্ব ছলি। দুজনইে শহীদ মনিার গড়ে ওঠা সচক্ষে দখেছেনে। তারা জানান, শহীদ মনিাররে পাশইে তাঁবু টানয়িে কাজ করত নভরো আর হামদি। হামদিকে কাজটি দয়োর পছেনে ছলি শল্পিার্চায জয়নুল আবদেনিরে সুপারশি। সরকারভিাবে স্থাপনাটি নর্মিাণরে দায়ত্বি ছলি প্রকৌশলী জব্বার সাহবেরে ওপর। হামদি যোগাযোগ রাখত সব ধরনরে সরকারি র্কাযকলাপে আর নভরো ব্যস্ত থাকত নকশা তরৈতি।ে যদওি পরর্বতীকালে সরকারি নথতিে নভরোর নাম না থাকায় কাজরে স্বীকৃতি তনিি পানন।ি
নভরো একক ভার্স্কয প্রর্দশনী করছেলিনে ১৯৬০ সালরে ৭ আগস্ট। জনোরলে আজম শল্পিীকে উৎসাহতি করতে ১০ হাজার টাকার চকে দনে। সটেি ছলি এক ধরনরে স্বীকৃত।ি ঢাকায় কমশিনরে কাজ করার সুযোগ ছলি কম। কারণ একটি প্রাদশেকি রাজধানীতে স্থাপত্য আর ভার্স্কযকে উৎসাহতি করবার মতো সাংস্কৃতকি বা রাজনতৈকি পরস্থিতিি ছলি না। নভরো আহমদে কোনো কমশিন পাচ্ছলিনে না বলইে ফয়জে আহমদ ফয়জে তাকে লাহোরে যতেে আমন্ত্রণ জানান। ১৯৬১ সালে অল পাকস্তিান পইেন্টংি অ্যান্ড স্কাল্পচার”প্রর্দশনীর আয়োজন হলে নভরো ‘চাইল্ড ফলিোসফার’ নামে একটি আবক্ষ র্মূতরি জন্য প্রথম পুরস্কার পলেনে।
প্রথম আধুনকি ভাস্কর হসিবেে পঞ্চাশ-ষাটরে দশকে এ শহরে আর্শ্চয সব র্ফম তরৈি করছেলিনে, পুরস্কৃত হয়ছেলিনে নভরো। তনিি প্রথা ভঙেে এমন এক পথ তরৈি করছেলিনে যা ছলি এ বাংলায় নতুন এক সৃজনশীলতার ইতহিাস। আর তা তনিি করলনে খুব অল্প সময়রে মধ্য,ে সদ্য শক্ষিা সমাপ্ত করে এসে এক রকম ভার্স্কযরে প্রাথমকি নরিীক্ষার কালইে। ভাস্কর হসিবেে ইউরোপরে শক্ষিা, র্দশন নয়িে দশেে ফরিে নভরো কতটা অসুবধিার সম্মুখীন হয়ছেলিনে তা অনুধাবন করে নতিে হয়। কারণ তার শল্পি ভাবনা নয়িে তনিি কোথাও কছিু বলনেন।ি এ প্রসঙ্গে ভাস্কর লালারুখ সলেমি জানান, যে সামান্য পৃষ্ঠপোষকতা নভরো ঢাকায় পয়েছেনে তার ওপর জীবন নর্বিাহ করতে না পরেে নভরো ঢাকার শল্পিজগৎ থকেে উধাও হয়ে যান। সে সময় র্পূব পাকস্তিান রাষ্ট্র মনে করনেি যে নজিদেরে বাসগৃহ বা কলকারখানা ভার্স্কয দয়িে অলংকৃত করব।ে সরকারি কাজরে সম্ভাবনা তমেন ছলি না। ষাটরে দশকরে র্আথসামাজকি প্রক্ষোপট একজন নারী ভাস্কররে জন্য সহায়ক ছলি না। অতএব অনুমান করে নয়ো ভুল হবে না, নভরো তার কাজরে পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে দশে ছড়েে চলে যান। তার পর থকেে নভরো নামটি এ দশেে বস্মিৃতরি অন্তরালে হারয়িে যতেে থাক।ে ১৯৭০ সালে তনিি ব্যাংককে ভার্স্কয প্রর্দশনী করনে। তারপর নানা ঘটনার মধ্য দয়িে একসময় তনিি পাকাপাকভিাবে ফরাসি দশেে স্থায়ী হন।
দশেরে বাইরে নভরো যসেব ভার্স্কয নর্মিাণ করনে সখোনে তার শল্পিরে র্ফম সর্ম্পূণ বদলে যতেে দখেি আমরা। সখোনে তার দশে-স্মৃতি অবঘাতরে প্রত্যক্ষতায় অঙ্কতি হয়। একদকিে সখোনে এক নরিবধি শূন্যতার বোধ, তার স্বদশেলগ্নতাও নতুন নতুন র্ফমে ব্যাপ্ত হতে দখে।ি অন্যদকিে তার ভার্স্কয উপকরণরে মধ্যে রোপতি ছলি সমগ্র পৃথবিীর র্বুজোয়া রাষ্ট্রকাঠমোর শোষণরে চহ্নি। শ্রণেী-শোষণ আর শ্রমকি-মালকি সর্ম্পকরে প্রহসন। সখোনে তার ফলেে আসা জন্মভূমরি ভৌগোলকি ভাগ্য শুধু আর তার চতেনাদশে হয়ে থাকনে,ি বরং সখোনে বশ্বিমানচত্রিরে রাজনীতরি প্রণোদনা জড়ো হয়। শল্পি ও নন্দনতত্ত্বরে অতীন্দ্রয়ি সত্তা কীভাবে পুঁজবিাদী র্বুজোয়া পৃথবিীর পণ্যভাষায় রূপান্তর হয় সইে কনস্ট্রাক্টভিস্টি শল্পি আন্দোলনরে মটোফর হসিবেে নভরো এ সময় তার ভার্স্কযে মাধ্যম হসিবেে বছেে ননে ব্রোঞ্জ, কখনো ধাতব পাত ও ফাউন্ড অবজক্টে। কারখানার উৎপাদতি পণ্য ব্রোঞ্জ বা ধাতব পাত সত্তা কখনো তার শল্পিরে র্ফমরে মতো অগ্রগণ্য আর বাঙ্ময় ছলি। যে ব্রোঞ্জ নজিইে শল্পি ইতহিাসরে স্মারক, সইে ধাতু দয়িে নভরো ভার্স্কয নর্মিাণ করনে। তার ভার্স্কযরে উপাদানরে জং ধরা, চটে যাওয়া রঙ এক ধরনরে আকস্মকি র্বণর্স্পশময় নৃশংসতাকে প্রকাশ কর।ে ব্রোঞ্জৎ দহেে রয়ছেে নষ্প্রিভ খরতা আর র্ককশতা। এর রয়ছেে বক্ষিুব্ধ, র্বণহীন সংবদে আর দ্রবীভূত হওয়ার মতো নম্য ক্রীতদাসতুল্যতা। এ ধাতু হয়ে ওঠে শল্পিীর স্বাধীন চন্তিার অনুষঙ্গ। এ ধাতুর পাতে দগ্ধ, ভূমচ্যিুত, অনকিতে অনান্দনকি পৃথবিী ক্রমশই উদ্ভাসতি হতে দখেি আমরা নভরোর ভার্স্কয।ে র্স্পশগ্রাহ্যতা বা টক্টোইল ইন্দ্রয়িানুভূতি এ ব্রোঞ্জ ধাতুর অমসৃণ পৃষ্ঠতলে ফুটে ওঠ।ে ভার্স্কযরে অবয়বে কখনো অগ্নমিয় ক্রোধ, অবঘাতরে শূন্যতা প্রকাশ পায়; আবার কোথাও তার ভার্স্কয র্ফমগুলো প্রলয়রে সংঘাতে বধ্বিস্ত। যনে অকস্মাৎ উন্মোচন হৃদয় নখর-দংশনে খুবলে নয়ো, তার ভার্স্কযরে ক্ষপ্রি ক্ষুরধার অভীপ্সার র্আতি আপাতদৃষ্টে ক্লন্নি বষিাদময়। এভাবে তার ভার্স্কযরে জবৈপ্রকৃতি শল্পি ও নন্দনতত্ত্বরে উচ্চর্মাগে পৌঁছানোর পণ্যতুল্য প্রলোভনরে পৃথবিীকে পরত্যিাগ কর। (সংক্ষপেতি)

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.