যারা দুর্বল তারা ভোটারদের ভয় দেখায়, শার্শায় ট্রাকের জয় কামনায় শত বছরের বৃদ্ধার দোয়া

মোঃ আনিছুর রহমান, বেনাপোল প্রতিনিধিঃ প্রতীক বরাদ্দের ৫ দিন পরে আজও   শার্শার স্বতন্ত্র প্রার্থীর জনপ্রিয়তা অনেক এগিয়ে যাওয়ার দৃশ্য লক্ষ করা গেছে। এ জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি হয়েছে শার্শার নৌকা প্রতীকের  প্রার্থীর সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের  কয়েকদফায় আঘাত করার কারনে । শার্শার মানুষের মঙ্গল কামনায় শান্তি স্বস্তি উন্নয়নের শার্শা গঠনের অঙ্গিকার নিয়ে মাঠে নামে সাবেক বেনাপোল পৌর সভার জনপ্রিয় মেয়র আশরাফুল আলম লিটন। আর তখনই মানুষের ঢল নামে লিটনের ট্রাক প্রতীকের পক্ষে। এ জোয়ার দেখে হিংসায় জ্বলে পুড়ে হিংস্র হয়ে উঠে নৌকা প্রতীকের  সমর্থকদের । সেই হিংসায় নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে সতন্ত্র প্রার্র্থীর কর্মীদের প্রতি প্রতিদিন কোন না কোন গ্রামে চালিয়ে যাচ্ছে অত্যাচার নির্যাতন। আর এ কারনে আজ ও দেখা গেছে দিন যত যাচ্ছে তত জনপ্রিয়তার ঢল নামছে গ্রামে গ্রামে। শনিবার সকাল ১০ থেকে বিভিন্ন গ্রামে ট্রাক প্রতীকের গনসংযোগে রাস্তায় রাস্তায় নারী পুরুষের ঢল। তারা ভি চিহৃ প্রদর্শন করে লিটন এর ট্রাক প্রতিকের লিফলেট হাতে অভিনন্দন জানায়।

শনিবার সকাল ১০ থেকে বেনাপোল পোর্ট থানার গয়ড়া, রাজাপুর, বৃত্তিআঁচড়া খড়িডাঙ্গা, শিকড়ী গাতিপাড়া গ্রামে কাগজপুকুর পোড়াবাড়ি নারানপুর, দুর্গাপুর, গ্রামে গনসংযোগে দেখা গেছে মানুষের ঢল। তারা আশরাফুল আলম লিটনকে বিজয়ী করে জয়ের মালা পরাবে বলে শ্লোগান দেয়।

গয়ড়া গ্রামের আলতাপ হোসেন বলেন, আমরা চাই শার্শায় শান্তি। এখানে কোন দানবের রাজনীতি চাই না। আমরা উন্নয়ন এবং মানুষের মধ্যে মানুষের বিভেদের পরিবর্তে চাই সৌহার্দ্য সম্প্রতি।  আমরা চাই আর যাতে শার্শায় কোন মায়ের কোল খালি না হয়, কোন বোন বিধবা না হয় সেই রাজনীতি। আমরা বেনাপোল পৌর সভার উন্নয়ন দেখে অভিভুত হয়েছি। এরকম উন্নয়ন যাতে শার্শা উপজেলায় হয় সেই লক্ষে আমরা এবার নৌকার পরিবর্তে ট্রাক প্রতিকের প্রার্থীকে ভোট দিব। আমাদের প্রতীক দেখে লাভ নেই। আমরা জানি লিটন ও আওয়ামীলীগের একজন নেতা। নৌকা তো দুই জন পায় না। তাই নেত্রী জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য লিটন এর মত দেশে আরো আওয়ামীলীগ নেতাদের নির্বাচনের অনুমতি দেয়। এতে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে একজন যোগ্য নেতাকে এবং তার কর্মীদের অপমানিত করছে নৌকা প্রতিকের দুবৃত্তরা।

বেনাপোল ইউনিয়ন এর যুবলীগ নেতা সাহেব আলী বলেন, তরুন নেতা আশরাফুল আলম লিটন নৌকা প্রতিক এর প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিনের আগে থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে। তিনি ছাত্রলীগ যুবলীগ থেকে এ পর্যন্ত এসেছেন। তিনি ওই নেতার চেয়ে ১২ বছর আগে থেকে রাজনীতি করে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের লিটন এর চেয়ে অনেক জুনিয়ার ওই নেতা।

রাজাপুর গ্রামের ডালিম বলেন, আমরা আর নির্যাতন নিপীড়ন হতে চাই না। বিগত ১৫ টি বছর আমরা এই জনপদে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এবার সুযোগ এসেছে আমাদের ভোট প্রদান করার। এই সুযোগে আর কোন অত্যাচারীকে আমরা ভোট দিতে চাই না। আমরা শান্তির শার্শা গঠনে সৎ নির্ভিক এবং উন্নয়নকামী মানুষকে ভোট দিব।

শার্শার চটকাপোতা গ্রামের সাহেব আলী বলেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাঠে কোন ভোট না থাকায় সে অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের তার জুট মিলে ডেকে নিয়ে তার কাজ করার জন্য অনুরোধ করছে। সে আমাকেও ডেকে নিয়েছিল। আমি তাকে বলতে চাই বিগত দিনগুলিতে সে কেন ডাকে নাই। বর্তমানে তার মাঠে কোন ভোট না থানায় তার সমর্থকরা ভোটারদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমরা আর তার হাতের খেলার পুতুল হতে চাই না।

যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর সভার সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেন,আমি চাই উন্নয়ন ও শান্তির শার্শা গড়তে। কারন এই ভুমিতে আমার জন্ম। আমি অনেক বাধা বিপত্তির মুখেও বেনাপোল পৌর সভাকে সাজিয়েছি। এবার জনগন যদি আমাকে  ম্যান্ডেড দিয়ে সংসদে পাঠায় তাহলে  শার্শার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলব। এবং আধুনিক মানানসই টেকসই উন্নয়ন করব । আপনারা জানেন, বিগত ১৫ টি বছর আপনারা যাকে সংসদ নির্বাচন করেছেন, তিনি আপনাদের কথা আপনাদের সমস্যার কথা বলতে সংসদে যান নাই। তাই আমি আপনাদের বলতে চাই আপনারা সকল বাধা বিঘ্ন পেরিয়ে ভোটের মাঠে যাবেন। যাকে খুশি তাকে ভোট দিবেন। আমাকে ভালো লাগলে ভোট দিবেন । না লাগলে অন্য কাউকে দিবেন। যারা দুর্বল তারা ভোটারদের ভয় দেখায়। তারা বাড়ি থেকে বের হতে নিশেধ করে। আমি আপনাদের সাহস দিচ্ছি আপনারা ভোটের মাঠে যান এবং আপনাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.