কালের সংবাদ ডেস্কঃ স্বাস্থ্য সচেতনরা ভাতের বদলে রুটি খেতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কিন্তু রুটিকে সুস্বাদু করতে গিয়ে একটু ভুলেই স্বাস্থ্যের জন্য হতে পারে বিপজ্জনক। হানা দিতে পারে ক্যানসার এবং হৃদ্রোগের মতো মারাত্মক রোগ! গবেষণা এমনটাই বলছে।
রুটি তৈরি একটি সাধারণ প্রক্রিয়া হচ্ছে। প্রথমে আটা বা ময়দা পানিতে মেখে রাখা হয়। পরে তা বেলে আগুনে সেঁকে নেয়া হয়। কিন্তু এত প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার পর রুটি স্বাস্থ্যের জন্য কতটা বিপজ্জনক হয়ে ওঠে জানেন কি? বিশেষ করে সরাসরি আগুনে সেঁকা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর করে তোলে।
রুটি বেলার পর সরাসরি আগুনে ঝলসে নিলে বেলুনের মতো ফুলে ওঠে। এতে রুটি বানিয়ে রেখে দেয়ার পর অনেকক্ষণ তা নরম থাকে এবং ছিঁড়তেও সুবিধা হয়। কিন্তু রান্নার সময় অতিরিক্ত আগুনের তাপ থেকে ‘হেটেরোসাইক্লিক অ্যামিন্স’ বা এইচসিএ এবং ‘পলিসাইক্লিক অ্যারোম্যাটিক হাইড্রোকার্বন’ বা পিএএইচ উৎপন্ন হয়, যার সঙ্গে সরাসরি ক্যানসারের যোগ রয়েছে।
সম্প্রতি এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ পত্রিকায় গবেষণাটি প্রকাশ হয়েছে। গবেষণা অনুযায়ী, সরাসরি আগুনে সেঁকা খাবার থেকে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়তে পারে। যদিও কম সময়ে রুটি করতে বেশির ভাগ মানুষই এই পদ্ধতি অনুসরণ করেন।
গবেষকরা বলছেন, রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস স্টোভ থেকে কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড এবং সূক্ষ্ম কণা নির্গত হয়। এসব কণা শরীরের জন্য বিপজ্জনক। এই দূষণকারী পদার্থগুলো শ্বাসকষ্ট, হৃদ্রোগ এমনকি ক্যানসারের কারণ হতে পারে।
এ ছাড়া নিউট্রিশন অ্যান্ড ক্যানসার জার্নালে প্রকাশিত আরেকটি গবেষণায় বলা হয়েছে, অতিরিক্ত আগুনে খাবার রান্না করলে কার্সিনোজেন তৈরি হয়। এগুলোও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের জন্য ভালো না।