বেল্লাল হোসেন বাবু, নাটোর জেলা প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে রণবাঘা পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই হাটটিতে সপ্তাহে প্রায় ১ হাজার হতে ১২ শত গরু বিক্রি হয়।
শুক্রবার (৩১ মে) সরেজমিন ওই হাটে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন এলাকা হতে আগত লোকজন গরু কিনতে আসে এই হাটে। অতিরিক্ত খাজনা আদায় ও আদায়কৃত টাকার পরিমাণ খাজনা আদায়ের রশিদ বইয়ে না লেখার অনিয়মে অনেকেই বাড়ি ফিরে চলে গিয়েছেন।
জানা যায়, যেখানে সরকার নির্ধারিত খাজনা বড় গরুর ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা ও ছোট গরুর ক্ষেত্রে ৪০০ টাকা। ইজারাদার সরকার নির্ধারিত খাজনা আদায় না করে প্রতিটি বড় গরুর ক্ষেত্রে ৮০০ টাকা ও ছোট গরুর ক্ষেত্রে ৭০০ টাকা করে আদায় করতেছে, ও আদায়কৃত টাকার পরিমাণ রশিদ বইয়ে না লিখেই এধরণের অনিয়ম এর ঘটনায় এই হাটে আগত লোকজন তদন্ত সাপেক্ষে কর্তৃপক্ষের নিকট সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
এধরনের অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাড় লেখক কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি ও ইজারাদার “মেসার্স রাজ কন্সট্রাকশন “প্রোঃ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম রাজ এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।তবে পরিচালনায় মোঃ মামুনুর রশীদ বলেন,আমাদের ত নন্দীগ্রামে একটা হাট নয় আরও অনেক হাট আছে,রনবাঘা হাটের অনিয়মের অভিযোগ এর বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয় ইজারাদার মাহফুজুল ইসলাম রাজ বলতে পারবে। হাটের প্রবেশ দ্বারে টেবিলে খাতা-কলম নিয়ে বিক্রি হওয়া গরু-ছাগলের ছাড় লেখার কাজ করছিলেন এক যুবক।
বড় গরুর খাজনা ৫০০ টাকার জায়গায় ৮০০ টাকা ও ছোট গরুর খাজনা ৪০০ টাকার জায়গায় ৭০০ টাকা আদায় করে খাজনা আদায়ের রশিদ বইয়ে আদায়ের পরিমাণ না লেখার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তো শুধু ছাড় লেখকের কাজ করি। বিনিময়ে কিছু টাকা পাই। এটি হাট কর্তৃপক্ষের নির্দেশে করা হয়, কর্তৃপক্ষ আদায়ের পরিমাণ লিখতে নিশেধ করায় লিখতে পারছিনা। উক্ত ঘটনায় বিভিন্ন এলাকা হতে আগত গরু ক্রয়কারী ও বিক্রয়কারীরা ভোগান্তির স্বিকার হচ্ছে। গরু ক্রয়কারী ও বিক্রয়কারীসহ এলাকাবাসী তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট।
অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের ঘটনায় নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন,বিষয় টি জানার পরে ইজারাদার কে নিশেধ করা হয়েছে পরবর্তীতে এধরণের অনিয়মের খবর পেলে পশুর হাট বন্ধ করে দেওয়া হবে।