রোজা ঈদ ফিতরা জাকাত ও সমাজতন্ত্র

কালের সংবাদ ডেক্স ঃ রোজা হচ্ছে প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলমানদের জন্য একটি ধর্মিয়তা আবশ্যক এবং আনন্দ উৎসবও বটে।

যার প্রতিফলন ঘটে বা দেখতে পাই ব্যক্তিগত পর্যায়ে, পারিবারিক পর্যায়ে এবং সামাজিক পর্যায়েও।

গ্রামে সাধারণত আগে খুবই সাধারণভাবে ধর্মীয় নিয়মে রমজান ও ঈদ প্রতিপালিত হতো কিন্তু ঈদ এখন আর সেই অবস্হানে নেই এযেনি এক আড়ম্বরপূর্ণ উৎসব।

দেখি শিশু ও তরুণ যাদের রোজা রাখার বয়স এখনও হয়নি তারাও রোজা রাখতে আগ্রাহী। কারণ তাদের ধর্ম পালন ও আনন্দময় অভিজ্ঞতা হয়, তারা গর্ব করে বলে যে রোজা রেখেছে আজ।

রমজান ও ঈদুল ফিতরের নামাজ মুসলমানদের একটি বিশাল ধর্মীয় পালন এবং উৎসব।

এ উত্সবে রয়েছে আরো প্রধান কাজ জাকাত ও ফিতরা।

এই দুটির তাৎপর্য বিশাল সহজ ভাবে বললে একটি আদর্শ ব্যবস্থা। দুটিই সামাজিক, অর্থনৈতিক ও মানবিক দিকে সমাজের একটি উপকারী কর্ম। যা মুসলমানদেরকে নিয়ে গিয়েছে মহানুভবতার শীর্ষে।

জাকাত ও ফিতরার মাধ্যমে কিছুটা সমবণ্টন বা বৈষম্য কমায় মানুষের জীবনে।

আধুনিক সামাজে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা এখন ব্যর্থ। সমাজতন্ত্র হচ্ছে এরকম “কেও খাবে কেও খাবেনা, তা হবেনা তা হবেনা”।

বাংলাদেশ তথা বিশ্বে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর সমাজতন্ত্রের মূলমন্ত্র এখন ধুলিসাতের পথে।

সমাজতন্ত্র কি জাকাত ও ফিতরা থেকেই উঠে এসে ছিলো ?

ফিতর বা ফাতুর বলতে খাদ্যদ্রব্য বোঝানো হয় যা দ্বারা রোজাদারগণ রোজা ভঙ্গ করেন। রমজান মাস শেষে ঈদে দানকে যাকাতুল ফিতর বা আহারের যাকাত বলা হয়।

ফিতরা আরবী শব্দ, যা ইসলামে যাকাতুল ফিতর (ফিতরের যাকাত) বা সাদাকাতুল ফিতর (ফিতরের সদকা) নামে পরিচিত।

নারী-পুরুষ, স্বাধীন-পরাধীন, শিশু-বৃদ্ধ, ছোট-বড় সকল মুসলিমের জন্য ফিতরা প্রদান করা ওয়াজিব।

জাকাত ভিত্তিক ইসলামি অর্থব্যবস্থা সৃষ্টির সুবাদে ধনী-গরিব সবাই স্বাচ্ছন্দ্যে ও আনন্দচিত্তে রমজান-ঈদ উদযাপন করতে পারে। তাই জাকাত দেওয়ার মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার সন্তষ্টি লাভের একটি সহজ উপায়ও।

Leave a Reply

Your email address will not be published.