শার্শায় বিএনপি নেতা হাসান সমর্থকদের হামলায় যুবদল নেতা সহ আহত ৩০।।মঞ্চ ভাংচুর, ককটেল বিস্ফোরণ, অনুষ্ঠান পন্ড

মোঃ আনিছুর রহমান বেনাপোল প্রতিনিধি:. বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর শার্শা উপজেলায় দুটি গ্রুপ রয়েছে। এর একটি গ্রুপ  সাবেক জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মফিকুল ইসলাম তৃপ্তির সমর্থক। অন্যটি শার্শা উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহবায়ক আবুল হাসান জহির। পুর্ব নির্ধারিত তৃপ্তি সমর্থকরা শার্শার নিজামপুর ইউনিয়নে গোড়পাড়া বাজারের প্রাইমারী স্কুল মাঠে  জনসভার আয়োজন করে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ৪ টার সময়। হঠাৎ কোন কারন ছাড়া হাসান জহির সমর্থকরা আকস্মিক আক্রমন বোমা বাজির মধ্যে দিয়ে তৃপ্তি সমর্থকদের মঞ্চ ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়। চেয়ার টেবিল ভেঙ্গে কর্মীদের মারধর করে। এতে প্রায় ৩০জন আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে ওই গ্রুপের সমর্থকরা দাবি করে। হাসান গ্রুপের সমর্থকরা আজ কয়েক দফায় হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত যখম করেছে তৃপ্তি গ্রুপের সমর্থকদের বলে জানা যায়।

বিএনপি নেতা তৃপ্তি গ্রুপের পুর্ব নির্ধারিত জনসভা কর্মসুচি স্থলে হামলায় মারাত্নক আহত হয়ে নাভারন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে শার্শা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আল মামুন বাবলু, এবং বেনাপোল পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শহিদুল ইসলাম শহিদ। এছাড়া ও আরো প্রায় ৩০ জনের মত আহত হয়ে যশোর সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে সুত্র দাবি করে। বাকি  আহতদের  নাভারন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এবং গনমাধ্যেম কর্মীদের ও হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।

বিএনপি নেতা জিয়াউর রহমান বলেন, শার্শার নাভারণ সরকারী হাসপাতালে  আহত নেতাদের দেখতে গিয়ে বিএনপির কমপক্ষে ৩০ জন নেতা কর্মী অবরুদ্ধ রয়েছে। হাসান জহির সমর্থকরা লাঠি সোঠা বোমা নিয়ে দাড়িয়ে আছে। তারা ওই হাসপাতাল থেকে তৃপ্তি সমর্থকরা বের হলে মারধর করবে বলে হুমকি দিচ্ছে।

এদিকে সরেজমিনে হাসপাতালে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে লাঠি সোঠা হাতে একটি গ্রুপ দাড়িয়ে আছে। তারা সাংবাদিক দেখে বলে এখান থেকে চলে যান। কোন প্রকার হাসপাতালে প্রবেশ করা যাবে না।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একজন কর্মী বলেন, হাসান গ্রুপেরও কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতরা হলো গোড়পাড়া গ্রামের নাসির উদ্দিন সোনানদীয়ার আবু বক্কার, দক্ষিন বুরুজ বাগান গ্রামের হাফিজুর ও গোড়পাড়া গ্রামের আরিফ হোসেন। তিনি আরো জানায় হাসান গ্রুপের গুরুতর আহত নাসির যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আমির আব্বাস বলেন, বিএনপির দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে তবে কেউ থানায় এখনো অভিযোগ দায়ের করেনি। পরিবেশ শান্ত রাখার জন্য পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। নাভারন হাসপাতালের সামনে লাঠি সোঠা নিয়ে কেন ৬০/৭০ জন লোক দাড়িয়ে আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশের হস্তক্ষেপে তারা চলে গেছে এখন নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published.