সাপাহারে টাইমস্কেল প্রদান সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষকের অভিযোগ

তসলিম উদ্দিন সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি:  সরকারী নীতি নৈতিকতা বহির্ভূতভাবে শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও মাদ্রাসা অধিদপ্তরের আদেশ অমান্য করে উচ্চতর স্কেল, টাইমস্কেল প্রদান না করায় সাপাহার উপজেলার মুংরইল ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ওই মাদ্রসার আরবী প্রভাষক রশিদুল হাসান উপজেলা নির্বাহী অফিসে এক অভিযোগ দায়ের করেছে।

আরবী প্রভাষকের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তিনি গত ২০২১সালের ডিসেম্বর মাসে মুংরইল এমপি ফাযিল মাদ্রাসায় প্রভাষক পদে যোগদান করিয়া অদ্যবদি সুনামের সাথে চাকুরি করে আসছে।

পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের সর্বশেষ পরিপত্র মোতাবেক ৫০% প্রভাষক সহকারী অধ্যপক হিসাবে পদোন্নতি পাওয়ার নির্দেশ থাকা সত্তেও উক্ত মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ (ভারপ্রপ্ত অধ্যক্ষ) মাও: রশিদুল হক দীর্ঘ দিন যাবৎ গড়িমসি করে শিক্ষদের ন্যায্য প্রাপ্য হতে বঞ্চিত রেখেছেন। অপর দিকে তিনি অদৃশ্য ইশারায় অর্থের বিনিময়ে বৈশম্য নীতি অবলম্বন করে অত্র মাদ্রাসার ৩ জন মাধ্যমিক শাখার শিক্ষককে ঠিকই টাইম স্কেল প্রদান করেন।

এছাড়া তৎকালীন সময়ের মাদ্রাসা কমিটি মন্ত্রানালয়ের পরিপত্র মোতাবেক শিক্ষক কর্মচারীদের উচ্চতর স্কেল/টাইমস্কেল প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাও: রাশিদুল হক অনৈতিকভাবে তা বন্ধ রেখেছেন।

এছাড়া তিনি অত্র প্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা চালু করার অজুহাতে অফিস সহকারীর

মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। যে কয়জন শিক্ষক অর্থ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন তাদেরকে তিনি এযাবৎ কালতক উচ্চতর স্কেল হতে বঞ্চিত রেখেছেন। আরবী প্রভাষক মাও: রশিদুল হাসান এর অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ হোসেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিষয়টির সঠিক তদন্তের জন্য আদেশ প্রদান করলে সাপাহার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: শামসুল কবিরকে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সকল শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়ে এক বৈঠকে বসে বিষয়টি তদন্তের জন্য প্রত্যেকের স্বাক্ষগ্রহণ করেন। এবিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা হলে তিনি মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীদের স্বাক্ষগ্রহণ করেছেন এবং নথিপত্রগুলি দেখেছেন সিদ্ধান্ত নিতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে সিন্ধান্ত নিলে পরে তদন্তের রিপোর্ট জানানো হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে বর্তমান অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মাও: রাশিদুল হক এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন যে, গত একবছর যাবত তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে ওই মাদ্রাসায় কর্মরত আছেন। অতিতে কোন অধ্যক্ষের সাথে অভিযোগকারীর কি কথা হয়েছে তা তিনি জানেন না। এছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষক আরবী প্রভাষক মাও: রশিদুল হাসান এবিষয়ে তার সাথে কোন পরামর্শ বা তার নিকট কোন সহযোগীতা চাইনি। তার পরেও তিনি ভারপ্রাপÍ হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়া তিনি ব্যবস্থাও নিতে পারেননা। অধ্যক্ষ পদটি পুুরণ হলে অধ্যক্ষ সাহেবই বিষয়টির সমস্যা সমাধান করবেন বলেও তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published.