স্বাধীনতার পর থেকে নানা ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধ্বংস্তূপ থেকে উঠে এসে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে

মোঃ আনিছুর রহমান,বেনাপোল প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ  আওয়ামীলীগের ৭৪ তম  প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শার্শায় কেক কেটে শান্তির ৭৪টি  কবুতর উড়িয়ে ও প্রবীন নেতাদের উত্তরীয় ও ক্রেষ্ট উপহার প্রদানের মধ্যে দিয়ে পালিত হয়েছে। শার্শার জামতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে  প্রধান অতিথি হিসাবে  যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌরসভার সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেছেন, আমাদের ভাষা নিয়েও ষড়যন্ত্র হয়েছিল ।

সেই সময় আওয়ামীলীগের তরুন নেতা শেখ মুজিবুর রহমান সেই সময় ভাষা আন্দোলনের প্রথম সারিতে নেতৃত্ব দিয়ে আমার মায়ের ভাষা রক্ষা করেছিল। অল্প কিছু দিনের মধ্যে তিনি সারা বাংলাদেশের ৬৮ হাজার গ্রামে গ্রামে যেয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সংগঠনকে জনতার সংগঠনে রুপান্তর করেছিল। আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে অনেক লঞ্চনা গঞ্জনা নিয়ে সংগঠন টিকিয়ে রেখেছে। অনেক সংকট মোকাবেলা করা সত্বেও আওয়ামীলীগকে দ্বিধাগ্রস্থ ও কেউ ভাগ করতে পারেনি। কারন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ একটি লক্ষ ও এবং উদ্দেশ্য নিয়ে রাজনীতি করে।

সেই লক্ষ ও উদ্দেশ্যর মধ্যে থাকে এদেশের মানুষ ও ভুমি।মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। ১৯৪৯ সালের ২৩শে জুন পুরান ঢাকার কে এম দাস লেনের ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে এই রাজনৈতিক দলটির জন্ম হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাঙালির অধিকার আদায়ের সব আন্দোলনে নেতৃত্বের ভূমিকায় ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ঐতিহ্যবাহী দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

শুরুতে দলের নাম ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’ করা হলেও পরবর্তীতে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানোর জন্য ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে ‘আওয়ামী লীগ’ করা হয়।। স্বাধীনতার পর থেকে নানা ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধ্বংস্তূপ থেকে উঠে এসে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৭৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধান অতিথি হিসাবে এসব কথা বলে আশরাফুল আলম লিটন।

শুক্রবার বেলা ৫ টার সময় শার্শা উপজেলার জামতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়  মাঠে উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক ইলিয়াছ আযম। এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর সভার সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন॥

প্রধান অতিথি আশারাফুল আলম লিটন আরো বলেছেন, জাতির জনক একজন অবিসংবাদিত নেতা হয়ে উঠার পিছনে এই বাংলার কৃষক বাংলার মেহনতি মানুষ। সবার সংগঠন এই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। এই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কোন রাজা বাদশার সংগঠন নয়। কোন সাহেব নির্ভর সংগঠন নয়। এই সংগঠন শেখ মুজিবুর রহমান এর সংগঠন। এই সংগঠন আমার দেশের কৃষক শ্রমিক মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন।

সেই সংগঠন লড়াই সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। একটি কথা মনে পড়ে তোমার মৃত্যুর কথা মনে হলে তোমার জন্মের কাছে আমরা ঋনি হয়ে যাই। শেখ মুজিব এদেশের মানুষ এর জন্য ১৪ টি বছর জেল খেটেছেন এরপর বাংলার মানুষকে সাথে নিয়ে তিনি একটি স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দিয়ে গেছেন। এবং তার পরিবার দেশের জন্য যত রক্ত দিয়ে গেছেন পৃথিবীতে কোন নেতা এত রক্ত দিয়ে যায়নি দেশের জন্য।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই ’৬২-এর শিা আন্দোলন, ’৬৪-এর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধ, ’৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি মুক্তির সনদ রচনা এবং ’৬৯-এর গণআন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরশাসন অবসানের প্রতিশ্রুতি অর্জন দলটিকে মুক্তিকামী মানুষের আশ্রয়স্থলে পরিণত করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বের জন্যই আওয়ামী লীগকে ’৭০-এর নির্বাচনে পূর্ব-বাংলার মানুষ তাদের মুক্তির ম্যান্ডেট দিয়েছিল।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ ভূখণ্ডে প্রতিটি প্রাপ্তি ও অর্জন সবই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই হয়েছে। মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বাঙালির অর্জন এবং বাংলাদেশের সকল উন্নয়নের মূলে রয়েছে আওয়ামী লীগ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ এবং বিশিষ্টজনরাও মনে করেন, আওয়ামী লীগের অর্জন পাকিস্তান আমলের গণতান্ত্রিক অর্জন, এই দলের অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। জাতির জন্য যখন যা প্রয়োজন মনে করেছে, সেটি বাস্তবায়ন করেছে এ দলটি। ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, সব আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশ গঠনে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করেছে আওয়ামী লীগ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি হিসাবে যশোর জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আহাসন উল্লাহ, শার্শা উপজেলা আওয়ামলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ফজলুল করিম বকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আজিবর রহমান বনও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শেখ সারোয়ার, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখ কোরবান আলী, বেনাপোল পৌর সভার সাবেক প্যানেল মেয়র সাহাবুদ্দিন মন্টু, আওয়ামীলীগ নেতা সাধন কুমার গোস্বামী, বেনাপোল পৌর সাবেক  কাউন্সিলর মিজানুর রহমান, মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আমেনা খতিব, সাংগঠনিক সম্পাদক বিউটি খাতুন প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.