নির্যাতনের শিকার গৃহবধু চুমকি প্রথম স্ত্রীর বিনা অনুমতিতে দ্বিতীয় বিয়ে করায় শাশুড়ির থানায় অভিযোগ

মো: আনিছুর রহমান বেনাপোল প্রতিনিধি: প্রথম স্ত্রীর বিনা অনুমতিতে দুই সন্তানের জনক তৌহিদুর রহমান একাধিক বিবাহীত নারী রিমি নামে এক মেয়েকে  বিয়ে করে  প্রথম স্ত্রীকে শারীরীক নির্যাতন করার  অপরাধে বেনাপোল পোর্ট থানায় অভিযোগ করেছে শাশুড়ী হালিমা বেগম। দীর্ঘদিন ধরে তৌহিদ বিভিন্ন মেযেদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক এরপর রিমি নামের মাদক সেবী এবং দেহ ব্যবসায়ি মেয়েকে বিয়ে করায় হালিমার মেয়ে চুমকির  সংসারে অশান্তি বিরাজ করছে বলে এমন অভিযোগ উঠেছে।

তৌহিদুর রহমান বেনাপোল পোর্ট থানার আমড়াখালী পৌর গেটের রশিদ এর ছেলে। বিয়ের আগে রিমি তার যশোরে এক খালার বাসায় থাকত। তার পিতা মৃত মনিরুল বলে জানা যায়।

হালিমা বেগম জানায় তার মেয়ে চুমকি বেগমের সাথে প্রায় ১২ বছর আগে তৌহিদুর এর বিয়ে হয়। এর মধ্যে তাদের ঘরে দুটি সন্তান ও হয়েছে। তার মধ্যে মাদক ও নারী আসক্ত  তৌহিদ এসব অপকর্ম করায় পরিবারে অশান্তি বিরাজ করছে। একাধিক বার তার বিচার শালিশ করলেও সে পথে আসে না। সম্প্রতি সে রিমিকে বিয়ে করে শার্শায় একটি ভাড়াটিয়া বাসায় রয়েছে। রিমি একজন দেহব্যবসায়ি। সে এবং তার বোন ঐশি ফেনসিডিল, ইয়াবা সেবন কারী এবং দেহ ব্যবসা করে থাকে। এর আগে রিমি বেনাপোল এর  পাটবাড়ি  জনৈক মাহফুজা’র ভাড়াটিয়া বাসায় দেহ ব্যবসা করার সময় হাতে নাতে ধরা পড়ার পর মাফ চেয়ে চলে যায়। সে তার মায়ের চিকিৎসার জন্য একাজ করে বলে জানায়। এরই মধ্যে রিমি আবার তার জামাইয়ের সাথে বিয়ে করে সংসারে চরম অশান্তি গড়ে তুলেছে। আর রিমিকে দিয়ে তৌহিদ দেহ ব্যবসাও করাচ্ছে বলে হালিমা বেগম মন্তব্য করেন। তৌহিদ তার মেয়ে চুমকিকে এরই মধ্যে মেরে একটি কান ছিড়ে দিয়েছে। তার চিকিৎসার জন্য আমার দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। এ বিষয় থানায় অভিযোগ দিলেও সে দারোগাদের কোন কথা শুনছে না।

আমড়াখালী গ্রামের জাহান আলী বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। গ্রামে তারা এর বিচার করতে পারবে না। কারন তৌহিদ কারো কোন কথা শোনে না।

বেনাপোল পোর্ট থানার উপ-পরিদর্শক মিলন হোসেন এর সাথে কথা বললে সে জানায় আমি বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য  তৌহিদকে থানায় আসতে বলেছি কয়েকবার। কিন্তু তৌহিদ আসেনি। এ বিষয়ে থানায় মামলা হবে না। এটা পারিবারিক আদালতে মামলা করতে হবে।

তৌহিদুর রহমান এর ০১৮৪০৪৭৩৮৮৯ মোবাইল ফোনে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *