বেনাপোলের পুটখালী সীমান্ত দিয়ে আসছে মাদকদ্রব্য। অলিখ ঘাট মালিক পাচ্ছে প্রতি রাত্রে ৭০-৮০ হাজার টাকা

মো আনিসুর রহমান বেনাপোল প্রতিনিধি: বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী সীমান্ত দিয়ে আসছে প্রতিদিন অবৈধ পথে ফেনসিডিল, মদ ও বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য। আর অলিখিত ওই সীমান্তের জনৈক ঘাট মালিক পাচ্ছে প্রতিরাত্রে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে কিছু অদৃশ্য শক্তির বলে এবং তাদের  সহযোগিতায় এসব মাদকদ্রব্য পাচার করে আনছে রাতের আধারে। আর হাতিয়ে নিচ্ছে কাড়ি কাড়ি টাকা। তবে মাঝে মধ্যে সামান্য পরিমান ফেনসিডিল মদ বিজিবি”র কাছে আটক হলেও এর বড় একটি অংশ চলে যাচ্ছে দেশের অভ্যান্তরে।

পুটখালী ইউনিয়ন এর একজন সাবেক মেম্বার বলেন, এ পথে আসছে এখন ফেনসিডিলের চালান। প্রতিদিনি ১ হাজার এর মত ফেনসিডিল ভারত থেকে আসে বাংলাদেশে। আর এর ডিউটি দিতে হয় প্রতি ১০০ পিচে ৩ হাজার টাকা। কাকে এসব ডিউটি দিতে হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি বলতে পারব না। আপনারা বের করে নেন। তবে সম্প্রতি কালে ওই সীমান্ত পথে ফেনসিডিল ও মাদকের কয়েকটি চালান বিজিবি সদস্যদের কাছে ধরা পড়ায় বুঝা যাচেছ মাদক চোরাচালানী ব্যবসা থেমে নাই।

গত ৯ তারিখে মদ ও ফেনসিডিল এর চালান নিয়ে বিজিবি সদস্যদের কাছে আটক  হয় উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার গাইঘাটা থানার চাঁদপাড়া গ্রামের প্রকাশ সিকদার (৩৫) ও শার্শার অগ্রভোলট গ্রামের আব্দুস শহীদ।

সীমান্তের পুটখালী গ্রামের একটি প্রভাবশালী বিগত শ্বৈরাচার আওয়ামী  সরকারের আমল থেকে  দাপটের সাথে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এরা হলো পুটখালী গ্রামের মুনসুর সরদার এর ছেলে আহাদ সরদার, নুরইসলামের ছেলে রুহুল আমিন ও তার সহদর শহিদুল,শামছুর রহমান এর ছেলে মাসুদ রবিউল এর ছেলে রফিকুল মুনসুর এর ছেলে আকরাম আলী,আফসার এর ছেলে মিলন সাত্তার এর ছেলে ইব্রাহীম ও ছামু পিতা অজ্ঞাত।

সুত্র মতে জনৈক ওই গ্রামের প্রভাবশালী এক ব্যাক্তির ছত্র ছায়ায় এসব মাদক চোরাচালানি ব্যবসা হচ্ছে বলে বাতাসে  গুঞ্জন ছড়িয়েছে। গ্রামের লোক বলে এই লোকের নাম বললে আমাদের গর্দান ঘাড়ে থাকবে না। বিস্তৃন্ন সীমান্ত  পরিমান সীমান্ত এলাকা হওয়ায়  সীমান্ত রক্ষীবাহিনী সব জায়গায় চৌকী দিতে না পারায় তাদের চোখ ফাকি দিয়ে এসব মাদক দ্রব্য নিয়ে আসছে চোরাচালানিরা। চলতি মাসে পুটখালী দৌলতপুর সীমান্ত থেকে বিজিবি কয়েক দফা ফেনসিডিল এর চালান আটক করেছে। আর এসব মাদক দ্রব্য ওপার থেকে পাচার হয়ে আসছে বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে ওই প্রভাবশালী ব্যাক্তির মাধ্যেমে।

এ বিষয় পুটখালী বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার সাইদুর রহমান এর কাছে ফেনসিডিল দেশে প্রবেশ করার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার দায়িত্ব আমি সঠিক ভাবে পালন করছি। তারপরও যদি আমাদের চোখ ফাকি দিয়ে কেউ এতবড় সীমান্ত দিয়ে বেরিয়ে যায় তাহলে সেখানে কিছু করার থাকে না। তবে আমরা সকল ধরনের চোরাচালানি পণ্য যাতে দেশে প্রবেশ না করে সে বিষয় সীমান্ত এলাকায় সজাগ রয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *