মো: আনিছুর রহমান বেনাপোল প্রতিনিধি: বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমস স্পট ট্যাক্স না নেওয়ার কারনে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী ল্যাগেজ ব্যবসার ক্ষেত্রে নিয়ম আছে স্পট ট্যাক্স নেওয়ার। এসব নিয়ম কানুন না মেনে পাসপোর্ট যাত্রীদের আনিত পণ্য সামগ্রী আটক করে বছরের পর বছর ফেলে রাখায় সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
কারন যেসব পণ্য কাস্টমস রেখে দিয়ে স্লিপ ধরিয়ে দিচ্ছে সে সব পণ্য কাস্টমস হাউসে বছর শেষ হলেও পৌছানো হচ্ছে না। আর এসব পণ্যর জরিমানা নিচ্ছে ৩০০%।
সুত্র মতে প্রতিদিন এ পথে আগে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত হতো প্রায় ১০ হাজার। বর্তমানে কাস্টমস এর হয়রানি ও ভারতীয় ভিসা জটিলতার কারনে যাত্রী সংখ্যা নামতে নামতে মাত্র ১ থেকে দেড় হাজার যাত্রী যাতায়াত করছে। যেখানে আগে রাজস্ব আয় হতো কোটি টাকার উপরে সেখানে এখন আয় হয় মাত্র ১০ লাখ টাকা।
পাসপোর্ট যাত্রী মিনতী রানী বলেন, এ পথে আমরা যারা যাতায়াত করে থাকি তারা বুঝতে পারি কাস্টমস কত নির্মম। ভারত থেকে প্রবেশের পর মহিলা হলে গায়ে হাত দিয়ে আর ব্যাগ স্কানিং ও খুলে হাত দিয়ে তল্লাশি চালায় কাস্টমস এর লোকজন। আর এসব পণ্য এভাবে তল্লাশি এবং আটক এর নির্দেশ দেয় সুপার জাহাঙীর।
ভারতীয় যাত্রী দিপক কুমার সাহা বলেন, সুপার জাহাঙীর এর কারনে এ পথে যাত্রী কমে গেছে। তিনি ভারত থেকে আনা পণ্য ডিএম না করে স্পট ট্যাক্স করে দিলে যাত্রীরা নিয়ে যেতে পারে। তিনি এসব এর তোয়াক্কা না করে ডিএম করে সরকারের রাজস্ব হারাচ্ছে আর যাত্রীদের পণ্য গুদামজাত করে নষ্ট করেছে। অথচ আমদানি পণ্যও সাথে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার পণ্য চওে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে বিশেষ গোয়েন্দা বাহিনীর তথ্যর ভিত্তিতে কিছু পণ্য আটক হলেও বড় অংশ সরকারের ট্যাক্স বাদে প্রবেশ করছে দেশের ভিতর।
নাম প্রকাশ না করার সুত্রে জনৈক পাসপোর্ট যাত্রী বলেন, গোপনীয় কিছু পণ্য আসে সে সব পণ্য শরীরে লুকিয়ে আনা যায় জাহাঙীর সাহেবের সাথে তাদের সখ্যতা রয়েছে তাদের ছেড়ে দিতে দেখা যায়। যেমন শরীরে অনেকগুলো মোবাইল ফোন মাদক দ্রব্য যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট এসব আসে।আর এই সুপার এখানে আছে তিন বছরের উপরে। একই জায়গা এতদিন থাকা মানে তার গোপন চুক্তিতে পণ্য আসে আর গোপনে লেন দেন হয়।
স্পট ট্যাক্স দিয়ে যাত্রী বাড়ানো যায় কি না এরকম বিষয় জানার জন্য বেনাপোল চেকপোষ্ট সুপার জাহাঙীর এর নিকট জানার জন্য কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।