মো: আনিছুর রহমান, বেনাপোল প্রতিনিধি:
যশোর জেলার শার্শা বেনাপোল সীমান্ত এলাকা এক আতঙ্ক জনপদের নাম। এখানে চোরাচালনি হত্যা গুম দলীয় কোন্দল নাশকতা সহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত ছিল এই জনপদের শীর্ষ স্থানীয় নেতা কর্মীরা। বিগত ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী হাসিনা সরকারের আমলে এই সীমান্ত এলাকা ছিল ত্রাসের রাজনীতি। আর সেই সুযোগে এখানে হত্যা গুম ও খুন হয়েছে অসংখ্যা নেতা কর্মীরা। আর এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নেতৃত্বে দিয়েছেন ওই সময়কার ভোট ডাকাতির মহানায়ক এমপি শেখ আফিল উদ্দিন। গত ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট ওই ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে শার্শা উপজেলার মানুষ। সেই থেকে এই এলাকার জনগন অনেকট সচেতন মুখি হয়ে চাচ্ছে একজন সৎ আদর্শ ও সন্ত্রাস বিরোধী নেতা। যিনি এলকার শান্তি স্বস্থি ও উন্নয়ন অব্যাহত রাখবে। ইতিমধ্যে এই এলাকার দলমত নির্বিশেষে প্রায় সিংহ ভাগ মানুষ চাচ্ছে তাদের পছন্দর একজন নেতা । সেই নেতার নাম শুনা যাচ্ছে যিনি বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী দলের সাবেক যশোর -১ আসনের এমপি এবং সাবেক কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি। তার নামে কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কোন মানুষের সাথে অসৎ ব্যবহার নাই। তিনি একজন উন্নয়নমুখী মানুষ। এলাকার মানুষের কাছে তিনি গ্রহনযোগ্য একজন আদর্শ নেতা।
ত্রয়োদশ জাতিয় সংসদকে সামনে রেখে এক জরিপে শার্শার সাধারন জনগন তাদের মতামত প্রকাশে বলেন, এই জনপদে সকল রাজনীতিদিদের থেকে গ্রহনযোগ্য রাজনীতিবিদ হচ্ছেন সাবেক সংসদ সদস্য মফিকুল হাসান তৃপ্তি। বর্তমান রাজনীতিবিদদের মধ্যে যারা রয়েছে তাদের থেকে মফিকুল হাসান তৃপ্তির রয়েছে সততা, আতœবিশ্বাস, যোগযোগ দক্ষতা সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষমতা এবং জনগনের প্রতি দায়িত্ববোধের মতো গুনাবলী। এছাড়া ও তার রয়েছে ধৈর্য, ক্ষমা ন্যায়পরায়নতা এবং জনগনের চাহিদা বোঝার ক্ষমতাও গুরুত্বপুর্ণ ।
বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের কবলে পড়ে অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে শার্শার জনপদ। এই এলাকায় ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের আমলে সন্ত্রাসের নতুন মাত্রা পেয়েছিল। সহিংস সন্ত্রাসের সাথে যোগ হয়েছিল বোমাবাজি, গ্রানেড হামলা পেট্রোল বোমা ইত্যাদি। বর্তমান ধারার অদুরদর্শী রাজনীতি চলতে থাকলে সন্ত্রাসীদের তৎপরতা ও হিং¯্রতা আরও তীব্র এবং অধিকতর ব্যাপক হবার আশঙ্কা বেশী থাকবে। সন্ত্রাসরোধে তাই সুস্থ ধারার রাজনীতির কোন বিকল্প নেই। বোমাবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার ভয়াবহ পরিণতি হতে রাজনৈতিক নেতা ও জনগনকে রক্ষা করতে শক্তিশালী গনতান্ত্রিক ব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই।
সন্ত্রাসী কর্মকান্ড অবসানের জন্য এই জনপদে মফিকুল হাসান তৃপ্তির মত একজন ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন যোগ্যতা সম্পন্ন আদর্শ রাজনীতিবিদ এর বিকল্প নাই। কারন বর্তমান ধারার অদুরদর্শী রাজনীতি চলতে থাকলে সন্ত্রাসীদের তৎপরতা ও হিং¯্রতা আরও তীব্র এবং অধিকতর ব্যাপক হওয়ার আশঙ্কা বেশী থাকবে। সন্ত্রাসরোধে সুস্থ ধারার রাজনীতির বিকল্প নেই।
সাবেক সংসদ সদস্য মফিকুল হাসান এর কাছে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দিয়ে রাজনীতি বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,শুধু শার্শা নয় গোটা বাংলাদেশে সন্ত্রাসরোধ করতে গেলে সুস্থ ধারার রাজনীতি করতে হবে। রাজনৈতিক নেতা ও জনগনকে রক্ষা করতে একমাত্র শক্তিশালী গনতান্ত্রিক ব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডর অবসান এর জন্য আইনের শাসন ও গনতন্ত্র প্রতিষ্টাই একমাত্র পথ। আর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গড়ে তুলতে হবে সন্ত্রাস বিরোধী ব্যাপক সামাজিক আন্দোলন। তবেই আমরা সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পথে এগিয়ে যেতে পারব।
তিনি আরো বলেন অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি, লোভ-লালসা, স্বেচ্ছাচার যখন সমাজে মাথাচড়া দিয়ে ওঠে, তখন সে সমাজে নিয়ম-নীতি হারিয়ে যায়। ফলে মানুষের মধ্যে হতাশা, নৈরাশ্য বাড়তে থাকে, সমাজে দেখা দেয় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। সুশাসনের অভাবে সমাজে দেখা দিচ্ছে নৈরায্য ও হতাশা। মানুষ আজ চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছে নানা অন্যায়-অবিচার। তার কোনো প্রতিকার নেই। সমাজে অনিয়ম-দুর্নীতি বাড়ছে, সবল দুর্বলের ওপর চালাচ্ছে নিপীড়ন-নির্যাতন, অন্যায়-অসততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি সমাজ জীবনকে করে তুলেছে দুর্বিষহ, বিভীষিকাময়। সুশাসন অর্থাৎ শাসনের অভাব ঘটলে, নিয়মনীতি লংঘিত হলে সমাজ তথা রাষ্ট্রীয় জীবনে এ ধরনের উপসর্গ প্রবল হয়ে ওঠে।রাজনীতির মূল ভিত্তি হচ্ছে সুশাসন। দেশে নির্বাচন হয় গণতন্ত্রের জন্য, মতার জন্য নয়। কিন্তু আমরা দেখি তার বিপরীত। মতার জন্য ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী পথ বেছে নিতে কেউ দ্বিধা করে না। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে গনতন্ত্রে বিশ্বাসী। জনগন যাকে বেছে নিবে আমি তাকে সমর্থন করব। তবুও কোন অন্যায় অত্যাচার জুলুম মামলা হামলা করে ক্ষমতার লোভ করব না। জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার আদর্শ নিয়ে আমি বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী দলের রাজনীতি করি।