কালাইয়ে নেপিয়ার ঘাস চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

মোঃ মোকাররম হোসাইন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি:
জয়পুরহাটে কালাইয়ে উন্নত জাতের ঘাস  বাণিজ্যিকভাবে চাষের প্রতি ঝুঁকছেন কৃষকও খামারিরা।যেমন ঘাস গুলো হচ্ছে নেপিয়ারও পাকচং,জার্মান,জাম্বু,জারা ইত্যাদি।গবাদিপশুর খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে কৃষকরা বাজারে বিক্রয় করে আর্থিকভাবে লাভবানও হচ্ছেন তারা।খড়ের বিকল্প  গরু-ছাগলসহ অন্যান্য গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে দেওয়া হচ্ছে নেপিয়ার ঘাস।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,এ উপজেলায় কৃষি ও পতিত জমি এবং বাড়ির আশপাশে নেপিয়ার ঘাসের চাষ লক্ষ করা যায়।কেউ নির্ধারিত সময়ে জমি থেকে ঘাস তুলে কেউবা ভারে করে, কেউ কাঁধে,অনেকেই ভ্যানগাড়ি ও ভটভটিতে আঁটি  বেধে বিক্রির জন্য স্থানীয় হাট-বাজারে নিয়ে যান।
কৃষকরা আরও বলেন,নেপিয়ার ঘাস চাষে পরিশ্রম কম হয়। জমিতে এ ঘাসের চারা একবার রোপণ করলে প্রায় ৩ বছরের মধ্যে নতুন করে লাগাতে হয় না। এ জাতের ঘাস রোপণের এক থেকে দু’মাসের মাথায় কাটার উপযোগী হয়ে যায়।গবাদি পশুর প্রিয় খাদ্য হিসেবে ভিটামিন এ,ও অন্যান্য পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এ ঘাসের চাহিদা দিনদিন বাড়ছে।
কালাই পৌরসভার বাসিন্দা আজাদ হোসেন বলেন,
আমি ১বিঘা জমিতে নেপিয়ার জাতের ঘাস লাগিয়েছি।তিনি মূলত পেশায় একজন কৃষক ও ভটভটিগাড়ি চালক।নেপিয়ার ঘাস চাষ করে নিজস্ব গবাদিপশুর খাদ্য চাহিদা পূরণের পর বাজারে বিক্রয় করছি।এক মুঠো (আটি) ঘাস ১০ থেকে ১৫ টাকা দরে বিক্রি করি।এতে নিজের যেমন চাহিদা মিটছে তেমনি বাজারে বিক্রয় করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।এ থেকে আমার সংসারে বাড়তি স্বচ্ছলতাও এসেছে।
এ উপজেলার আরেক খামারি আব্দুল আলিম বলেন, আমার খামারে ৭টি গরু রয়েছে। খড়ের দাম বেশি হওয়ায় এখন এই ঘাস খাওয়ানো হচ্ছে। নেপিয়ার ঘাস চাষ গরুর খাবারের চাহিদা মিটছে।
এ উপজেলার মূলগ্রামের আনছার আলী নামে খামারি বলেন, আমার খামারে ৩১টি গরু আছে।
কৃষকরা অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে নেপিয়ার ঘাসের চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।এসবের পাশাপাশি ১২ বিঘা জমিতে নেপিয়ার জাতের ঘাস লাগিয়েছেন তিনি।নিজের গবাদি পশুগুলোকে খাওয়ানোর পাশাপাশি এই ঘাস বাজারে বিক্রি করে থাকি।
এ বিষয়ে কালাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হাসান আলী বলেন,প্রাণীপুষ্টি ও উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে খামারিদের নিয়মিত ঘাসের কাটিং বিতরণ করা হচ্ছে। কৃষক ও খামারিরা মাঝে ঘাস উৎপাদনে উঠান বৈঠক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন,২০২৩ -২০২৪ চলতি মৌসুমে কালাই উপজেলা মোট ২৪.৪৬ একর জমিতে ঘাস চাষ করেছেন। এতে ঘাস উৎপাদন হয়েছে ২৬৫০ মেট্রিক টন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.