কালাইয়ে শেষ মহুর্তে সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রয় পরিস্থিতি দেখতে হিমাগারগুলো পরিদর্শন করেছেন বানিজ্য মন্ত্রনালয়

মোঃ মোকাররম হোসাইন, কালাই জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটের কালাইয়ে শেষ মহুর্তে সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রয় পরিস্থিতি দেখতে হিমাগারগুলো পরিদর্শন করেছেন বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের যুগ্মসচিব মিরাজুল ইসলাম উকিল ও উপসচিব তরফদার সোহেল রহমান।
রবিবার(২২অক্টোবর)দুপুরে স্থানীয় প্রশাসনসহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে তাঁরা কালাই উপজেলার আর বি হিমাগার ও পুনট কোল্ড স্টোরেজ পরিদর্শন করেছেন।
অথচ রবিবার হিমাগার গেটেই পাইকারি বাজারে ৪২ থেকে ৪৮ টাকা এবং খুচরা বাজারে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হয়েছে। কিন্তু পরিদর্শনে আসা যুগ্মসচিবের সামনে বাজার নিয়ে মুখ খোলেননি ব্যবসায়ীরা।
পরিদর্শনের সময় তিনি হিমাগারগুলোর মজুতের রেজিস্টার খাতা  খতিয়ে দেখেন। সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি হচ্ছে কি না তা জানতে হিমাগার কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে কথাও জানান ।এ সময় আর বি হিমাগারে আলু কিনতে আসা চাঁদপুরের ব্যবসায়ী ইউনুস আলীর সাথে কথা জানান  বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের যুগ্মসচিব মিরাজুল ইসলাম উকিল।
বর্তমানে পাইকারি বাজারে বা হিমাগার গেটে কি দামে আলু বিক্রয় হচ্ছে তা জানতে চাইলে ব্যবসায়ী ইউনুস কোনো উত্তর দিতে পারেননি। তিনি নিরব ভূমিকায় ছিলেন। আলু ক্রয়-বিক্রয়ের চালান দেখতে চাইলেও ওই ব্যবসায়ী দেখাতে পারেননি। তবে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান,এখন দুপুর বেলা,তাই আলুর দাম বলতে পারবো না। সন্ধ্যার পর আলু বেঁচা-কেনা হয়। ঢাকার মহাজনরা যে দাম নির্ধারন করে দিবে সেই দামে আলু ক্রয় করা হবে এবং চালানও দেওয়া হবে। এখন আমাদের নিকট চালান কিছুই নেই।
হিমাগার পরিদর্শনের সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া আঞ্চলিক ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সহকারি পরিচালক ইফতে খারুল আলম, কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাত আরা তিথি, কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম, জেলা কৃষি বিপনণ কর্মকর্তা রতন কুমার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইসতিয়াক আহম্মেদ প্রমুখ।
আর বি হিমাগারের ব্যবস্থাপক সেলিম হোসেন জানান,  হিমাগারের আলু ব্যবসায়ীদের। আমরা ভাড়ায় রাখি। বেঁচা-কেনা করে ব্যবসায়ীরা। যে সকল তথ্য চেয়েছে তা আমরা দিয়েছি। আসলে দাম নিয়ে আমাদের করার বা বলার কিছুই নেই। বেশী দামে আলু বিক্রি হচ্ছে এটা সবাই জানেন।
পরিদর্শন শেষে যুগ্মসচিব মিরাজুল ইসলাম উকিল বলেন, মজুতের হিসাব অনুযায়ী হিমাগারগুলোতে এখনও পর্যাপ্ত পরিমান আলু রয়েছে। প্রতিনিয়ত প্রশাসনের নজরদারীতে আলু ক্রয়-বিক্রয় হলে বেশী দাম নেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। তাই স্থানীয় প্রশাসনকে হিমাগারগুলোতে নজরদারী বৃদ্ধির জন্য বলা হয়েছে। আজ থেকেই বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হিমাগারগুলোতে প্রশাসনের লোকজন সরকার নিদ্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রয় পরিস্থিতি দেখভাল করবেন। কোনোভাবেই পাইকারি বাজারে ২৭ টাকা এবং খুচরা বাজারে ৩৬ টাকার বেশী আলু বিক্রি করা যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published.