ঢাকার মানুষের কাছে এখন সোজা পথে কক্সবাজার

কালের সংবাদ ডেস্কঃ চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হওয়ায় রেলপথেই এখন ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়া যাবে।

১১ই নভেম্বর এই রেলপথের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

বাণিজ্যিকভাবে কখন এই রুটে ট্রেন চালু হবে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নতুন ট্রেনের প্রস্তাবিত নাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ করবেন বলে জানাযায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আইকনিক স্টেশন দেখবেন ঐ দিন।

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ট্রেনে পৌঁছাতে সময় লাগবে এখন একটু বেশী। কারণ চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার এখন পূর্ণগতিতে চালাব না। ৫০-৬০ কিলোমিটার গতিতে চালাব।

“মাস দুয়েক পরে ৮০ কিলোমিটার গতিতে চালাব। এখন হয়ত আড়াই থেকে ৩ ঘণ্টা লাগবে। চট্টগ্রাম থেকে পরে সেটা ২ ঘণ্টায় আসবে।”

ঢাকা থেকে কক্সবাজারে যেতে ৭ ঘণ্টার মত সময় প্রয়োজন হবে।

এই রেলপথ দেশের সমুদ্র সৈকত জেলাকে যুক্ত করল- কক্সবাজার জেলা। দ্বিতীয়ত একটি পর্যটন নগরীকে যুক্ত করল।

এটা পরবর্তীতে মাতারবাড়িতে যে গভীর সমুদ্র বন্দর সেটার সাথেও কানেক্ট করছে।

এই রেলপথে যে চুনতি অভয়ারণ্য আছে এবং বনাঞ্চলের ভিতর দিয়ে এই রেললাইন গেয়েছে। যথাসম্ভব পরিবেশকে রক্ষা করতে এবং এখানে যে বন্য প্রাণী আছে, তারা যাতে অবাধে বিচরণ করতে পারে বনের একপাশ থেকে আরেক পাশে সেজন্য এখানে হাতির জন্য আন্ডারপাস এবং ওভারপাস করা হয়েছে।

“হাতি যে ধরনের খাদ্য খায়, সেই পথে সে ধরনের গাছ লাগানো হয়েছে যাতে হাতি সেই পথ দিয়ে চলাচল করে। এটা দীর্ঘদিন সিসিটিভিতে মনিটরিং করে এবং ইন্টারন্যাশনাল এক্সপার্টরা ডিজাইন করেছে। জানা মতে, এশিয়াতে আর হাতির জন্য কোনো ওভারপাস বা আন্ডারপাস নেই। এটাই প্রথম।

কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনের অপারেশন সুবিধা ব্যাপক হারে আছে। লিফট ও এসকেলেটর আছে বৃদ্ধ, শিশু ও অসুস্থদের জন্য। ফুড কোর্ট, আবাসিক, যাত্রীদের জন্য লকার ব্যবস্থা সব কিছু রাখা হয়েছে।

“একজন পর্যটক আলাদা করে হোটেলে না থাকলেও পারবেন। সেখানে লাগেজ রাখতে পারবেন। স্বল্প খরচে কেউ থাকতে চাইলে সেখানে থাকতেও পারবেন। ভালো মানের অপারেটর দিয়ে সেটি পরিচালনা করা হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published.