কে এম নুর মোহাম্মদ, ক্রাইম রিপোর্টার কক্সবাজারঃ কক্সবাজার টেকনাফের দক্ষিণ জালিয়াপাড়ায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুইজন মাদক কারবারীকে আটক করেছে র্যাব-১৫ এর সদস্যরা। এসময় মাদক কারবারে জড়িত আরো দুইজন পালিয়ে যায়।
আটককৃতরা হলেন, টেকনাফ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড দক্ষিণ জালিয়াপাড়ার মোঃ ইউনুছের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৯) ও পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড চৌধুরীপাড়ার সামসুল আলমের ছেলে কিশোর রিয়াজ উদ্দিন (১৭)।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১৫) কক্সবাজার
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মোঃ আবু সালাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে র্যাব-১৫, আভিযানিক দলের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারীর প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, টেকনাফ থানাধীন টেকনাফ পৌরসভাস্থ দক্ষিণ জালিয়াপাড়া এলাকায় কতিপয় মাদক কারবারী বিপুল পরিমাণ অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয়/অন্যত্র প্রেরণের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর সিপিসি-২ হোয়াইক্যং ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল উক্ত স্থানের দক্ষিণ জালিয়াপাড়ায় মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কতিপয় ব্যক্তি একটি প্লাস্টিকের বস্তা ফেলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে দুইজন মাদক কারনারীকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তিদের দেহ ও ফেলে যাওয়া প্লাস্টিকের বস্তা তল্লাশী করে সর্বমোট ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩টি মোবাইল ফোন এবং ৫টি সীম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে পৌঁছানোর পূর্বেই আরও দুইজন মাদক কারবারী পালিয়ে যায় মর্মে ধৃত ব্যক্তিরা স্বীকার করে। এছাড়াও জানা যায়, তারা পরস্পর যোগসাজসে বড় বড় ইয়াবার চালান অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহপূর্বক নিজেদের হেফাজতে মজুদ করে থাকে। পরবর্তীতে মজুদকৃত ইয়াবার চালানগুলো বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে অত্যন্ত কৌশলে টেকনাফ ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করে থাকে বলে জানা যায়। উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোন ও সীম কার্ড ব্যবহার করে মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ তারা নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে আসছিল বলে জানা যায়।
তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ইয়াবাসহ আটক ও পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।