নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি : নওগাঁ সদর উপজেলার কির্ত্তিপুর ইউনিয়নের দাসকান্দি গ্রামের নজরুল ইসলাম কে তাঁর পরিবার সহ বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে তার বাড়িঘর ভাংচুর করছে তার সৎ মা ও তার ভাইয়েরা। জানা গেছে নজরুল ইসলাম, আব্দুল গফুর শাহ্ প্রথম পক্ষের সন্তান।
ঘটনাটি ঘটেছে,গত সোমবার ২৮/০৮/২৩ তারিখে
পিতাকে হাত করে ৩য় পক্ষের সন্তানদের যোগ সাজসে তাদের বসবাস করা ঘর ছেড়ে দিয়ে আজ দারে দারে ঘুরছে এতিম নজরুল ইসলাম ও তাঁর পরিবার।
২ বছর বয়স কালে নজরুল ইসলামকে রেখে তার মা লুৎফা বেগম মারা যান। মৃত্যুর প্রায় ৩৫ বছর হয়ে গেছে। নজরুলের মায়ের মৃত্যুর পরে তার বাবা আরো ২ টা বিয়ে করেন। তৃতীয় স্ত্রীর উরসে ২ ছেলে ফজলু ও শফিকুল এবং মেয়ে লাবনী আক্তার জন্ম নেয়। তখন থেকে নজরুল ইসলাম অনেক কষ্ট করে সাবালক হয়ে ওই সংসারে থেকে বিয়ে করেন । বিয়ের পরে সংসারের অভাব দুর করতে ২০০৭ সালে প্রবাসে যান। দীর্ঘ প্রবাস জীবন থেকে তার বাবা সহ সৎ মা ও ভাই বোনদের খরচ পাঠাতেন। সে তার সৎ ভাই ফজলুকেও বিদেশে পাঠিয়েছেন। বর্তমানে তাঁর সৎ ভাইয়েরা বাবার সম্পত্তি থেকে নজরুল ইসলাম কে বঞ্চিত করার জন্য বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার শুরু করেছে সৎ মায়ের পরিবার । তারই ধারাবাহিকতায় বসবাসরত ঘর ও ঘরে থাকা আসবাপত্রসহ ঘর ভেঙ্গে ফেলেছে। নজরুল ইসলামের ঘর ভাঙ্গার পরে সেই জায়গাতে পাকা ঘর নির্মানের জন্য কাজ চলছে। একারনে ভুক্তভোগি পরিবার আইনী সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন নওগাঁ জেলা অফিসে অভিযোগ করলে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা মিলেছে।
এবিষয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, আমি বাবার সন্তান হিসেবে বাবার সেই বাড়িতে বসবাস করতাম আমাকে বের করে দিলে আমি কোথায় থাকবো। আমার দাবী বসবাসের জন্য আমার বাবার বাড়ি ভিটায় আমাকে ঠাই দেওয়া হউক।
আমি সেখানে বসত বাড়ি নির্মাণ করে বউ বাচ্চা নিয়ে বসবাস করবো। সেখানে ঘর নির্মান করলে আমি কোথায় থাকবো। তাই আমি মামলার জন্য প্রস্তিতি নিচ্ছি।
আব্দুল গফুর শাহ্ বলেন, আমার পুরোনো ঘর আমি ভেঙ্গে নতুন করে ঘর করবো আমার ছেলে নজরুলকে আলাদা যায়গাতে ৫ শতক জমি দিব বসবাসের জন্য। যাতে করে কোন গন্ডগল না হয়।
এবিষয়ে কির্ত্তিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল হক বলেন, আমার গ্রাম আদালতে বিচার চেয়েছিল সেখানে এক পক্ষ মানে আর এক পক্ষ মানে না। তাই নজরুলের বাবার উপরে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।