কালের সংবাদ ডেস্কঃ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নোবেল জয়ী প্রফেসর ড. ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয় সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকম চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, পরিচালক নাজনীন সুলতানা, পরিচালক মো. শাহজাহান, পরিচালক নূরজাহান বেগম, পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, এডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, এডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।
দুদক ও এজাহার সূত্র জানায়, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলামসহ গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ডের সদস্যগণের উপস্থিতিতে ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা ব্যাংক লি. গুলশান শাখায় একটি হিসাব খোলা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকম এর সঙ্গে সেটেলমেন্ট এগ্রিমেন্ট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সভার হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত একদিন পূর্বেই ব্যাংক হিসাব খোলা হয়। সেটেলমেন্ট এগ্রিমেন্ট ২৭/৪/২০২২ খ্রি. তারিখে হলেও এই এগ্রিমেন্টে ৮/৫/২০২২ খ্রি. তারিখে ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে, যা বাস্তবে অসম্ভব।
রেকর্ডপত্রাদি বিশ্লেষণে দেখা যায়, এডভোকেট ফি হিসেবে প্রকৃতপক্ষে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র ১ কোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং এডভোকেটসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ করে সেটেলমেন্ট এগ্রিমেন্টের শতার্দি লঙ্ঘনপূর্বক জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে গ্রামীণ টেলিকম থেকে উক্ত অর্থ আত্মসাৎপূর্বক অপরাধলব্ধ অর্থ স্থানান্তর/রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে আত্মসাৎ করেছেন, যা দ-বিধি এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়ায় আসামি প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস, চেয়ারম্যান, গ্রামীণ টেলিকমসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দ-বিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান কর্তৃক একটি মামলা রুজু করা হয়।