বগুড়া জেলা প্রতিনিধি, সিফাত আল বখতিয়ার: র্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কুমিল্লা থেকে ছেড়ে আসা নীলফামারীগামী বিপুল পরিবহনে কতিপয় ব্যক্তি রক্ষিত প্রজাতির কাছিম পরিবহন করছে।
সংবাদের প্রেক্ষিতে অদ্য( ২৯ আগস্ট) মঙ্গলবার ভোর ০৬.৪৫ মিনিটে বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানাধীন বগুড়া টু সিরাজগঞ্জ মহাসড়কের জব্বার হোটেলের সামনে অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করা হয়। তল্লাশিকালে ০৭.২০ মিনিটে বিপুল এন্টারপ্রাইজ এর একটি বাসকে থামার জন্য সংকেত দিয়ে বাসটি থামিয়ে বাসে থাকা যাত্রী ১। শ্রী সুবাস চন্দ্র রায় (৩৫), পিতা-শ্রী শুকারু চন্দ্র রায়, ২। মানিক রায় (২০), পিতা- পাথার রায়, ৩ প্রদীপ রায় (৩৫), পিতা-ফলিরাম রায়, সর্বসাং- ডুগডুগি বড়গাছা, থানা- ডোমার, জেলা-নীলফামারী” দের আচরনবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তাদেরকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ধৃত আসামীগণ জিজ্ঞাসাবাদে তাদের উপরোক্ত নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করে এবং তাদের হেফাজতে থাকা কালো রংয়ের প্লাস্টিকের একটি বালতির মধ্যে রক্ষিত ০৯ (নয়) টি কচ্ছপ রাখার কথা স্বীকার করে।
পরবর্তীতে সামাজিক বন বিভাগ, বগুড়াকে সংবাদ দিলে তাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে জন্মকৃত কচ্ছপগুলোকে রক্ষিত সুদ্ধি কাছিম যা বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী তফসিলভুক্ত বন্যপ্রাণী বলে সনাক্ত করে। সুদ্ধি কাছিম ধরা, মারা, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন আইন পরিপন্থি। আটককৃত ব্যক্তিগণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুসারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।