সীতাকুণ্ড কেন্দ্রীয় মাঠে অস্হায়ী গরুর হাটে বালির বস্তা না সরাতে খেলাধূলা বন্ধ

রাফি চৌধূরী, ক্রাইম রিপোর্টার সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে (উপজেলা কেন্দ্রীয় মাঠ হিসেবে পরিচিত) ঈদুল আযাহা উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও অস্হায়ী গরুর হাট বসে।অন্য বছর শেষ বাজারের পরদিন বালির বস্তাগুলো সরালেও এবার আজ সোমবার সকাল প্রযন্ত বস্তাগুলো সরানো হয়নি, ফলে ছেলেদের খেলাধূলার প্রাণ কেন্দ্র মাঠটিতে খেলাধুলা বন্ধ রয়েছে,এতে ক্রীড়া মোদিদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সীতাকুণ্ড ক্রীড়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ ভট্রাচার্য প্রতিনিধি কে জানায়, ঈদুল আযাহা উপলক্ষে প্রতিবছরই এই কেন্দ্রীয় মাঠটি অস্হায়ী গরুর হাট হিসেবে ব্যবহার করে আসছে, এর আয়গুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খরচ করা হয়, বাজারের অবকাঠামো বাঁশ, বালুর বস্তাগুলো শেষ বাজারের পর পরদিন সরিয়ে নেন বাজার ডাক ঠিকাদার। কিন্তু এবার ঈদের পাঁচদিন পরও সরানো হয়নি, এই খেলার মাঠ সব সময়ই সরব থাকে খেলাধূলায়, ঈদের ছুটি কালে উপজেলার বিভিন্ন স্হান থেকে ছেলেরা প্রীতি ফুটবল খেলতে আসে, কিন্তু এবার খেলতে পারেনি। এতে ক্রীড়ামোদীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

স্হানীয় ক্রীড়ামোদিরা জানায়, সীতাকুণ্ড খেলাধুলার প্রাণ কেন্দ্র এই মাঠটিতে স্কুল, কলেজ, মাদরাসার ছাত্রদের পাশাপাশি আশেপাশের কয়েকটি ইউনিয়নের ক্রীড়ামোদিরা খেলাধূলা করে থাকে, বিশেষকরে ঈদের ছুটিতে সব বয়সের ক্রীড়ামোদিরা প্রীতি ফুটবল খেলে থাকে।এবার খেলতে পারেনি গরুর হাট উপকরনে বালির বস্তাগুলো না সরাতে, স্হানীয় প্রভাবশালী কিছু যুবক এই মাঠটি কোরবানী ঈদ উপলক্ষে ঠিকাদারী নেন, তারা প্রভাবশালী হওয়ায় এব্যাপারে কেউ মুখ ঘুরতে নারাজ।

এব্যাপারে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতিনিধি কে জানায়,ঠিকাদার দেয়ার সময় শর্ত ছিল মাঠ পরিস্কার করে দেয়ার,অভিযোগ পেয়ে ঠিকাদার কে কঠোরভাবে বলা হয়েছে,ঈদের ছুটির কারনে লোকের অভাবে পরিস্কার করতে পারেনি জানায়,তবে খুব শিগ্রি বালুর বস্তা সরিয়ে পরিস্কার করে দিবে বলে জানায়।

ঠিকাদার কাউকে মোবাইলে পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.