কালের সংবাদ ডেস্কঃ আওয়ামী লীগ এগোচ্ছে বিরোধীদের আন্দোলন মোকাবিলা ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে।
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ১৪ দলকেও মাঠে সক্রিয় করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সম্প্রতি রাজধানীতে ২ টি সমাবেশও করেছে ১৪ দল। অন্যদিকে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। সর্বশেষ ৬ই আগস্ট গণভবনে অনুষ্ঠিত বিশেষ বর্ধিত সভা থেকে দেয়া হয়েছে দলীয় নির্দেশনা।
সম্ভাব্য প্রার্থীর গোয়েন্দা প্রতিবেদনও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের হাতে এসেছে।
নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী প্রার্থীদের নানা ধরনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাদেরকে নিজ নির্বাচনী এলাকায় কাজ করতে বলা হয়েছে। জনগণের দোরগোড়ায় গিয়ে সরকারের উন্নয়ন প্রচার করতে বলা হয়েছে। যার জনপ্রিয়তা বেশি তাকে মনোনয়ন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। নির্বাচনের জন্য দুই-তিনমাস খুব বেশি সময় নয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সর্বশেষ গত ২রা আগস্ট রংপুর জিলা স্কুল মাঠে রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় মহাসমাবেশে অংশ নেন। সেখানে তিনি নৌকার পক্ষে ভোট চান।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে যেসব নির্বাচনী এলাকায় দলীয় কোন্দল চরমে, সেসব এলাকা চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট নেতাদের ঢাকায় তলব করা হবে। প্রয়োজনে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাও হস্তক্ষেপ করবেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপি ও এর সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। বিষয়টি মাথায় রেখেই সাংগঠনিক ঐক্যবদ্ধ শক্তির মাধ্যমে জবাব দিতে দলের সব পর্যায়কে শক্তিশালী করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা দু’টি বিষয়ে গুরুত্ব দেবে। বিষয় দু’টি হলো- দল গোছানো ও বিভিন্ন জেলায় দলের ভেতর যেসব ভুল বোঝাবুঝি আছে, সেগুলো দূর করা।
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় একটি দল। রাজপথে আন্দোলন করেই দলটি এদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে। তাই যারা এর বিপক্ষের শক্তি হিসেবে মাঠে নামবে তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি চলবে। সেটা শান্তি সমাবেশ নামে হোক কিংবা অন্য কোনো নামে হোক। বাংলাদেশের মানুষের জানমালের কোনো ক্ষতি হতে দেয়া যাবে না। তাই নির্বাচন প্রস্তুতি ও রাজপথের আন্দোলনে আমাদের সরব ভূমিকা থাকবে।